জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না ডা. শাহাদাতের

17

এক মামলায় জামিন হল মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ মহিলাদলের পাঁচ নেতার। তবে তিন মামলায় গ্রেপ্তার ডা. শাহাদাত এক মামলায় জামিন পেলেও সহসা তার মুক্তি মিলছে না। অন্যদিকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় জামিন পাওয়ায় মহিলা দলের পাঁচ নেত্রীর মুক্তিতে বাধা নেই। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন ভার্চুয়াল আদালতে এ আদেশ দেন। ভার্চুয়াল আদালতের শুনানিতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অংশ নেন ডা. শাহাদাত ও অন্যরা।
এ বিষয়ে আসামিদের আইনজীবী বদরুল আনোয়ার জানান, করোনার কারণে আসামিদের কারাগারে রেখেই আমরা ভার্চুয়ালি শুনানি করেছি। কোতোয়ালী থানার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় শাহাদাত হোসেনসহ মহিলাদলের পাঁচ নেত্রীর শুনানি শেষে প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে শাহাদাতের আরও দুই মামলার জামিন শুনানি হয়নি। এ দুই মামলায় রিমান্ড শুনানী পেন্ডিং থাকায় জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ গত ২৯ মার্চ দুপুর তিনটা থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে তা পালন করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিএনপি। এসময় ককটেলবাজি, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পুলিশের ওপরও হামলার অভিযোগ রয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি পুলিশ বক্স, পুলিশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ঢাল ও স্বয়ং পুলিশ সদস্যরাও। হামলার পর নগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। একটি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অন্যটি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে। প্রত্যেক মামলাতেই নগর বিএনপির আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সেক্রেটারি, ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ নগর বিএনপির শীর্ষ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নাসিমন ভবন থেকে গ্রেপ্তার ১৫ জনকে আসামি না করে সেই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৪৩ জনকে। অন্যদিকে নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. লুসি খান সিটি নির্বাচনের সময় কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন দাবি করে নগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন চকবাজার থানায়। সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. শাহাদাত। তাকে কোতোয়ালীর দুই মামলাও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।