জামিন, অন্তর্বর্তী আদেশের মেয়াদ বাড়ল ২ সপ্তাহ

8

করোনা ভাইরাস মহামারির বিস্তার ঠেকাতে সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে জামিন ও আদালতের সব ধরনের অন্তর্বর্তী আদেশের কার্যকারিতা আরো দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গতকাল রোববার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেওয়া হয়েছে সেসব মামলার জামিন ও সব প্রকার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসমূহের কার্যকারিতা গত ৪ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় আগামী ২ (দুই) সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।
এর আগে ৪ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে জামিন ও আদালতের সব ধরনের অন্তর্বর্তী আদেশের কার্যকারিতা দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সামাল দিতে সরকার প্রথম দফায় ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ওইদিন রাতেই সীমিত পরিসরে দেশের আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত আসে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছ থেকে। গত ৫ এপ্রিল রাতে এ সংক্রান্ত আলাদা তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এসব বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ এপ্রিল থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুধু আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত, হাই কোর্টের চারটি বেঞ্চ চালু থাকবে।
আর মুখ্য বিচারকি হাকিম বা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত সীমিত পরিসরে চালু থাকবে, তবে সব অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এরপর গত ১৩ এপ্রিল আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে আপিল বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার কথা জানানো হয়।
এর আগের দিন অর্থাৎ গত ১২ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেটিকে সর্বাত্মক লকডাউন হিসেবে বলা হচ্ছে। এ সময়ে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
এর আগে গত বছর মার্চে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওই সময় দেশের বিচার ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ ছিল।
পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দিতে পক্ষদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আদালতকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়ে গত বছর ৯ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।