জাপানের ৬০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা মিলতে পারে

10

পূর্বদেশ ডেস্ক

বাজেট সহায়তা হিসেবে জাপানের কাছ থেকে ৬০ কোটি ডলারের ঋণ পেতে পারে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি জানান, এজন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবে জাইকা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
গতকাল সোমবার ঢাকায় শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর কার্যালয়ে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার (জাইকা) নতুন ও বিদায়ী বাংলাদেশ প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপ শেষে মন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলেন।এদিন বাংলাদেশে জাইকার নতুন প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে ও বিদায়ী প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মান্নান জানান, জাইকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে বাজেট সহায়তার বিষয়ে তাদের সংস্থার মনোভাব ইতিবাচক মনে হয়েছে। তাদের অবস্থান এবিষয়ে কথা দিয়ে যাওয়ার মত নয়। জাইকা যথাযথ নিয়ম প্রতিপালন করেই ঋণ অনুমোদনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে বলে আশা পরিকল্পনামন্ত্রীর।
কোভিড মহামারির মধ্যে সবশেষ দুই অর্থবছরে জাইকার কাছ সাড়ে ৬৮ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ। সরকার জাপান ছাড়াও বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাজেট সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণের পাশাপাশি বিদেশি উৎস থেকেও ঋণ নিয়ে থাকে। এরমধ্যে বিদেশি উৎসের যেসব ঋণ নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো খাতে খরচ করা যায় সেই ঋণই বাজেট সহায়তা।
সাক্ষাৎ শেষে মান্নান বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি জাপান আমাদের উন্নয়নে অনেক অবদান রেখে যাচ্ছে। আমরা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে আরও আগ্রহী এই খাতে জাইকাও কাজ করতে ইচ্ছুক। আমরা আমাদের নৌবন্দরগুলোতে আরও কাজ করতে চাই। রেল, সমুদ্র খাত নিয়ে কাজ করতে চায় তারা’।
আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে জাপানের আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ইকোনমিক জোনে তাদের ব্যাপক আগ্রহ দেখলাম। আমি তালিকা দেখলাম এটা প্রায় রেডি। আমি তাদের কথা দিয়েছি আপনারা চিন্তা করবেন না। এটা প্রায় রেডি। শিগগির এটা আমরা চ‚ড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি তাদের বলেছি, তাদের অর্থায়নে যেসব প্রকল্প রয়েছে আমরা প্রত্যেকটা প্রকল্পকে কারিগরি সহায়তাসহ সকল ধরনের অগ্রাধিকার দেব’।
এসময় জাইকার নবনিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে জানান, তিনি দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করেছেন। জাপানে বাংলাদেশ ডেস্কে কাজ করা এ কর্মকর্তা এমআরটি ৬, মেঘনা-গোমতি-কাঁচপুর সেতু, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এই অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে গভীর সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে আমি বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশে তিন বছর দায়িত্বপালকারী বিদায়ী প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো বলেন, ‘এখানে দীর্ঘদিন কাজ করে আমার মনে হয়েছে সব খাতে বাংলাদেশ ভালো করছে। কোভিড সংকট মোকাবিলাসহ নানা খাতে বাংলাদেশ ঈর্ষনীয় সফলতা অর্জন করেছে’। খবর বিডিনিউজের