জান্তা সরকারের বন্দি নির্যাতনের ছবি প্রকাশ মিয়ানমারে বাড়ছে ক্ষোভ

5

আটক থাকা ছয় তরুণ বিক্ষোভকারীকে নিপীড়ন করার ছবি প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এসব বিক্ষোভকারীর শরীরে মারাত্মক নিপীড়নের চিহ্ন দেখা গেছে। এরপরই দেশটির অভ্যুত্থানবিরোধীদের নির্যাতন এবং হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে একটি পর্যবেক্ষক গ্রুপ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রববার সন্ধ্যায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন এমআরটিভি-তে প্রকাশ করা ছবিতে চার পুরুষ ও দুই নারীর মুখ রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত দেখা গেছে। এক নারীর ফুলে যাওয়া চোয়াল এবং চোখ কালো হয়ে যেতে দেখা গেছে। পর্যবেক্ষক গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপিবি) এক টুইট বার্তায় বলেছে, ‘এই জান্তা সরকার নির্যাতনকে নীতি হিসেবে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পদক্ষেপ না নিলে নির্যাতন এবং মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া, স্পষ্টত অব্যাহত থাকবে।’
এএপিপি জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা বাহিনী ৭৩৭ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে। এছাড়া আরও তিন হাজার ২২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রুপটি বলছে, ‘এএপিপি সব আটককৃতকে নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে যাদের গোপন স্থানে রাখা হয়েছে।’ ওই ছয় আটককৃতকে রবিবার মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের উপশহর ইয়ানকিন থেকে আটক করা হয়। এমআরটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, ওই ছয় জন গত শনিবার বেলা দুইটায় ইয়ানকিনের একটি সরকারি অফিসের বাইরে বোমা বিস্ফোরণে জড়িত।
ওই ঘটনায় তিন সরকারি সেনা আহত হয়। এর বেশি কোনও তথ্য তারা প্রকাশ করেনি। আল জাজিরার প্রতিবেদক বলেন, আমরা আরও দেখেছি সামরিক সরকার আরও মারাত্মক ধরনের অপরাধে মানুষকে অভিযুক্ত করছেন। অভ্যুত্থানের পর থেকে আমরা তাদের এই কৌশল ব্যবহার করতে দেখেছি, মানুষকে আটক দেখিয়ে অন্যদের বাইরে বের হওয়া এবং বিক্ষোভ থেকে বিরত রাখার কৌশল।
মিয়ানমারের বেসামরিক ও সামরিক সম্পর্ক গবেষক কিম জোলিফে বলেন, মিয়ানমারের ছয় বিক্ষোভকারীর ছবি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হলো মানুষকে ভয় দেখানো। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের জান্তার কৌশল একই নীতির ওপর ভর করে; ‘আমরা তোমাদের চেয়েও নৃশংস হতে পারি। আমরা তোমাদের চেয়ে মর্মান্তিক কষ্ট এবং ভয়াবহতা দিতে পারি। এটাই তাদের আছে। কিন্তু এর কোনও সীমা নেই।’
আটককৃত ছয়জনের গ্রেফতারের আগে ও পরের ছবির সঙ্গে তুলনা করছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। কেউ কেউ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখারও আহবানও জানাচ্ছেন। আটক থাকা ছয় তরুণ বিক্ষোভকারীকে নিপীড়ন করার ছবি প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এসব বিক্ষোভকারীর শরীরে মারাত্মক নিপীড়নের চিহ্ন দেখা গেছে। এরপরই দেশটির অভ্যুত্থানবিরোধীদের নির্যাতন এবং হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে একটি পর্যবেক্ষক গ্রুপ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রববার সন্ধ্যায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন এমআরটিভি-তে প্রকাশ করা ছবিতে চার পুরুষ ও দুই নারীর মুখ রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত দেখা গেছে। এক নারীর ফুলে যাওয়া চোয়াল এবং চোখ কালো হয়ে যেতে দেখা গেছে। পর্যবেক্ষক গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপিবি) এক টুইট বার্তায় বলেছে, ‘এই জান্তা সরকার নির্যাতনকে নীতি হিসেবে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পদক্ষেপ না নিলে নির্যাতন এবং মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া, স্পষ্টত অব্যাহত থাকবে।’
এএপিপি জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা বাহিনী ৭৩৭ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে। এছাড়া আরও তিন হাজার ২২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রুপটি বলছে, ‘এএপিপি সব আটককৃতকে নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে যাদের গোপন স্থানে রাখা হয়েছে।’ ওই ছয় আটককৃতকে রবিবার মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের উপশহর ইয়ানকিন থেকে আটক করা হয়। এমআরটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, ওই ছয় জন গত শনিবার বেলা দুইটায় ইয়ানকিনের একটি সরকারি অফিসের বাইরে বোমা বিস্ফোরণে জড়িত।
ওই ঘটনায় তিন সরকারি সেনা আহত হয়। এর বেশি কোনও তথ্য তারা প্রকাশ করেনি। আল জাজিরার প্রতিবেদক বলেন, আমরা আরও দেখেছি সামরিক সরকার আরও মারাত্মক ধরনের অপরাধে মানুষকে অভিযুক্ত করছেন। অভ্যুত্থানের পর থেকে আমরা তাদের এই কৌশল ব্যবহার করতে দেখেছি, মানুষকে আটক দেখিয়ে অন্যদের বাইরে বের হওয়া এবং বিক্ষোভ থেকে বিরত রাখার কৌশল।
মিয়ানমারের বেসামরিক ও সামরিক সম্পর্ক গবেষক কিম জোলিফে বলেন, মিয়ানমারের ছয় বিক্ষোভকারীর ছবি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হলো মানুষকে ভয় দেখানো। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের জান্তার কৌশল একই নীতির ওপর ভর করে; ‘আমরা তোমাদের চেয়েও নৃশংস হতে পারি। আমরা তোমাদের চেয়ে মর্মান্তিক কষ্ট এবং ভয়াবহতা দিতে পারি। এটাই তাদের আছে। কিন্তু এর কোনও সীমা নেই।’
আটককৃত ছয়জনের গ্রেফতারের আগে ও পরের ছবির সঙ্গে তুলনা করছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। কেউ কেউ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখারও আহŸানও জানাচ্ছেন।