জাতীয় সরকারের তত্ত্ব ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র

15

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সরকারের তত্ত্বকে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, অবৈধভাবে কেউ ক্ষমতা দখল করলে সংবিধান অনুযায়ী তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। জাতীয় সরকারের নামে জিয়াউর রহমানের স্টাইলে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন কাউকে না দেখারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নগরীর পাঁচলাইশে কিং অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হতে পারবে না। আগামী নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে নির্বাচন হবে। ইয়াজউদ্দিনের তত্ত¡াবধায়ক সরকারের মতো আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসবে না। কারা আজ আমাদের গণতন্ত্র শেখায় ? এই বিএনপি ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেওয়া দল। তারা কখনোই গণতান্ত্রিক হতে পারে না।’
জাতীয় সরকারের তত্ত্বকে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন বলছে জাতীয় সরকারের কথা। নির্বাচনের বাইরে কোনো অগণতান্ত্রিক সরকারের কাছে কখনও ক্ষমতা হস্তান্তর হবে না। আর কোনোদিন অবৈধ শক্তি ক্ষমতায় যেতে পারবে না। সংবিধানে আমরা সেটা রেখেছি। যদি কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা নেয়, নেওয়ার চেষ্টা করে, ষড়যন্ত্র করে কিংবা হুমকি দেয়-তাদের প্রধান শাস্তি হবে মৃত্যুদন্ড।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সরকারের নামে জিয়াউর রহমানের মতো ক্ষমতা দখল করবি- সেটা হবে না। তোরা (বিএনপি) নির্বাচনে আসলে আসবি, না আসলে আসবি না। সত্তরের নির্বাচনে বিপ্লবী দল ন্যাপ প্রার্থী দিল, হঠাৎ কি হল তারা নির্বাচন থেকে সরে গেল, আজ ন্যাপ কোথায়? ন্যাপের আজ অস্তিত্ব নেই। সুতরাং অস্তিত্ব বাঁচাতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই স্বাধীনতা চেয়েছিলেন উল্লেখ করে ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন বছর কারাগারে রাখা হয়। ১৯৫২ সালের ২২ মে করাচিতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যান বঙ্গবন্ধু। সেখানে বিভিন্ন নেতাদের সাথে দেখা করে বঙ্গবন্ধু বলেন, তোমরা ঠিক করছো না। একদিকে শোষণ, অত্যাচার, একদিকে নির্যাতন চলতে পারে না। সেদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বঙ্গবন্ধু বলেন, সবসময় যদি বাঙালিদের উপর নির্যাতন চালানো হয় তাহলে পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানে থাকতে পারবে না। ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি বিরোধীদলীয় সর্বদলীয় একটি মিটিং হয় লাহোরে। পূর্ব পাকিস্তানের নেতাদের দাওয়াত দেয়া হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু বলেন, আমার বাঙলার মানুষকে বাঁচাতে হবে। আমার দেয়া ছয়দফা দাবি মানতে হবে।