জাতীয় যুব দিবসে আলোচনা সভা

22

এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনে আর মাত্র ১০ বছর রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বৈশি^ক ও জাতীয় উন্নয়নে যুবদের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ এখন জনমিতিক সুফল সময় বিরাজ করছে। দেশের মোট ৩৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী যুব। যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে এই যুবসমাজকে সার্বিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তিতে পরিণত করতে হবে। গত সোমবার বেলা ৪টায় স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসার প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। ইপসার ইয়ুথ ফোকাল আবদুস সবুরের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান। যুবদের অফুরন্ত সম্ভাবনাকে জাতির জন্য কাজে লাগানো বিশেষ প্রয়োজন উল্লেখ করে সভায় যুবদের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততা বাড়াতে বেশ কিছু প্রস্তাবনা রাখা হয়। সেগুলো হলো- সাধারন শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যুবদের আধুনিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা, দেশে ও দেশের বাইরে সম্মানজনক কর্ম-সংস্থানের সুযোগ তৈরী করা, উদ্যেক্তা তৈরীর লক্ষ্যে সহজ শর্তে যুবদের ঋণ এর ব্যবস্থা করা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি সহ-শিক্ষা কার্যক্রম সুযোগ রাখা, স্থানীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক চর্চা, সুস্থ বিনোদন ও খেলাধূলার সুযোগ নিশ্চিত করা ইত্যাদি। এছাড়া ধর্মের নাম দিয়ে যেন কোন যুব বিপদগামী না হয় সে ব্যাপারে পরিবার, সমাজ, ধর্মীয় নেতা ও রাষ্ট্রকে সজাগ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। তারা বলেন, আমাদের দেশে মেধাবী মানুষের অভাব নেই। পর্যাপ্ত সম্মান ও প্রণোদনার ব্যবস্থার অভাবে আমাদের মেধাগুলো বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। তাই, মেধা পাচার বন্ধ করার জন্য মেধাবী তরুণদের পর্যাপ্ত সম্মান ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া যুবদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বে যুবদের জন্য সুযোগ তৈরি, নীতি নির্ধারন ও সিদ্ধান্ত গ্রহনে যুবদের অংশগ্রহন নিশ্চিত এবং সংসদে যুবদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয় সভায়। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে যুবদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়। সভায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরী ইপসার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইপসার মনিটরিং অফিসার রোকেয়া সামিয়া এবং ইপসার ফিল্ড অফিসার মো. ওসমান গনি। বিজ্ঞপ্তি