জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খান রিমান্ডে

79

নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে পাওয়ার হাউস কলোনি এলাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা ওসমান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহান পুলিশের দাখিল করা রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে মঞ্জুর করেন।
আদালতে নিযুক্ত নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, ওসমান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল। বিচারক শুনানি শেষে পাঁচদিনের অনুমতি দিয়েছেন।
এর আগে মহিউদ্দিন সোহেল হত্যাকান্ডের দু’দিন পর গত ৯ জানুয়ারি মহিউদ্দিন সোহেল হত্যঙ্কান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য ওসমান খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার আগের দিন অর্থাৎ গত ৮ জানুয়ারি গভীর রাতে নিহত মহিউদ্দিন সোহেলের ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহবায়ক সাবের আহম্মেদ এবং ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ও জাপা নেতা ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী রেলওয়ে পাওয়ার হাউস কলোনি এলাকায় প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে। নিহত মহিউদ্দিন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মিলারচর গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে। তার বাবা রেলওয়ের সাবেক কর্মচারি। পরিবার নিয়ে নগরীর খুলশী আবাসিক এলাকায় বসবাস করলেও রেলওয়ে পাওয়ার হাউস কলোনি স্টাফ কোয়ার্টারের দুটি কক্ষ দখল করে কার্যালয় খুলে বসেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন দখলকৃত কার্যালয়ের ভেতরেই কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। তার শরীরে ২৬টি ধারালো অস্ত্রের জখম ছিল বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। হামলায় রাসেল দে নামে তার এক অনুসারীও আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হত্যাকান্ডের পর প্রাথমিকভাবে ‘চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ’ হয়ে রেলওয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের ‘পিটুনিতে’ সোহেল নিহত হন বলে জানিয়েছিল পুলিশ। বিস্তারিত তদন্তে পরিষ্কার হবে- যোগ করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।