‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ উঠতে পারে যাদের হাতে

13

মহামারি করোনাভাইরাস ২০২০ সালে বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছিলো বটে। তবে প্রবল আকার ধারণ করে ২০২১ সালে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ছিলো প্রায় বন্ধ। এর মধ্যেও নানা বিধিনিষেধ মেনে চলে জীবনযাত্রা। মুক্তি পায় সিনেমাও। জানা যায়, গেলো বছর মোট ৩২টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিলো প্রেক্ষাগৃহে। সেই সিনেমাগুলো থেকেই বাছাই করে নির্বাচিত করা হয়েছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১’র বিজয়ী তালিকা। যদিও তা তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
তবে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ্যে এসেছে বিজয়ীদের সম্ভাব্য নাম। মোট ২৮টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে এবার ২৭টি ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ‘শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক’ বিভাগে কাউকে যোগ্য বিবেচিত হয়নি জুরি বোর্ডের। ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১’-এ আজীবন সম্মাননা পেতে পারেন অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। শোনা যাচ্ছে, এ আসরে রীতিমতো বাজিমাত করেছে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মিত ‘নোনাজলের কাব্য’। মোট সাতটি বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছে ছবিটি। এর মধ্যে রয়েছে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর মতো আকর্ষণীয় বিভাগগুলো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার যাচ্ছে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র ঝুলিতে। ছয়টি বিভাগে সেরা হয়েছে এটি।
এক নজরে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১’র সম্ভাব্য বিজয়ীরা:
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (যৌথভাবে): লাল মোরগের ঝুঁটি (মাতিয়া বানু শুকু) ও নোনাজলের কাব্য (রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত)। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (যৌথভাবে): মো. সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (যৌথভাবে) আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-পার্শ্ব চরিত্রে: এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী-পার্শ্ব চরিত্রে: শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-খল চরিত্রে: মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-কৌতুক চরিত্রে: প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা)। শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর)। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)। শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)। শ্রেষ্ঠ গায়ক: কে. এম. আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মপুরাণ)। শ্রেষ্ঠ গায়িকা: চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মপুরাণ)। শ্রেষ্ঠ গীতিকার: প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)। শ্রেষ্ঠ সুরকার: সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন)। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)।
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি)। শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)। শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি)। শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য)। শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (দলগত): সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি)। শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর)। শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা: ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য)।
শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান (দলগত): মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: আকা রেজা গালিব (ধর)। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: কাওসার চৌধুরী (বধ্যভূমিতে একদিন)। শিগগিরই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে বিজয়ীদের নাম। এরপর বড় আয়োজনে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার।