জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রতি বছর দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

11

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠককে ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এই অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ৮ বছরের জমে থাকা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার একসঙ্গে প্রদান করা হয়েছে।
ভার্চুয়ালি এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রতি বছরের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রতি বছরেই দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলকে এ বিষয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী।
আজকের এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উপস্থিত ছিলেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে খেলাধুলার উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তি ও সংগঠককে এই মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সনদপত্র পেয়েছেন।
আট বছরে ৮৫ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে পুরষ্কার পেয়েছেন শুধুমাত্র একজন।২০১৩ সালের সংগঠক (ফুটবল) ক্যাটাগরিতে মনোনিত হয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড এর মহাসচিব সামশুল হক চৌধুরী এমপি।
সামশুল হক চৌধুরী ১৯৫৭ সালের ২০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার সম্ভান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । ১৯৮২ সালে চট্টগ্রামের শতদল ক্লাবের গভর্ণিং বডির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। এরপর তিনি সিটি স্টুডেন্টস্ ক্লাব, সিটি স্টার ক্লাব ও চট্টগ্রাম আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সদস্য মন ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্রীড়া চক্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে অদ্যাবধি মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পৃষ্ঠপোষক কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮-২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি তিনবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশন (ডি.এফএ) এর ২য় বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বিভাগীয় এবং জেলা ফুটবল মনিটরিং কমিটির ২য় বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৬ সালে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অনুষ্ঠিত ফিফা কংগ্রেসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি দুই বার জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্ন দেশে এএফসি, সাফ ও ফিফার সভায় যোগদান করেন। তিনি সাড়াজাগানো শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রবক্তা।