জাতীয় কাউন্সিলের মূল প্রতিপ্রাদ্য নির্ধারণ

18

ঢাকা প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মূল প্রতিপ্রাদ্য ঠিক করা হয়েছে- ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে।’
গত মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও অর্থ-উপ কমিটির আহব্বায়ক কাজী জাফর উল্লাহ সম্মেলনের মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে কমপক্ষে ১ লাখ লোকের সমাবেশের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমাদের এবারের কাউন্সিলের প্যান্ডেলটা ‘ল’ শেপ হবে। এতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার লোকের বসার আয়োজন থাকবে। এবারের কাউন্সিলে মঞ্চটা হবে নৌকার আদলে।
তিনি আরও বলেন, গতবার আমাদের সম্মেলন ছিল দুই দিন ব্যাপী ছিল। এবার একদিনের সম্মেলন হবে। প্রথম অধিবেশনের পরে দ্বিতীয় অধিবেশনের আগে নামাজ ও খাওয়ার জন্য একটা বিরতি হবে। তারপরই আমাদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ৭ হাজার কাউন্সিলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি করা হবে। সেই অপেক্ষায় আমরা সবাই থাকব।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, আমাদের এখানে (বাংলাদেশে) বিদেশি দূতাবাসের যারা আছেন, সে রাষ্ট্রদূতদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে কারা কারা আসবেন কালকের মধ্যে আমরা জানতে পারব। কারা উপস্থিত থাকবেন জানতে পারব। এর বাইরে বিদেশি রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকি, এবার আমরা সেটা করছি না।
মঞ্চ সাজ সজ্জা উপ-কমিটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, এবারের মঞ্চের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৮০ ফিট আর প্রস্থ হচ্ছে ৪৪ ফিট। এই মঞ্চে নৌকা ও পদ্মা সেতু দুইটার আদলই থাকবে। এর মধ্যে আমাদের উন্নয়ন, অগ্রগতির চিত্র থাকবে। পেছনে বঙ্গবন্ধু ও নেত্রীর ছবি থাকবে, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবি থাকবে। এছাড়া আমাদের জাতীয় চার নেতার ছবি থাকবে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শামসুল হক ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের ছবি আমাদের মঞ্চের পেছনে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাউন্সিলের প্রবেশের জন্য ৫টি গেইট থাকবে। তার মধ্যে একটি ভিআইপি ও চারটি গেট থাকবে ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের প্রবেশের জন্য। আমাদের কাউন্সিলরের সংখ্যা ৭ হাজার। তার দ্বিগুণ অফিসিয়াল ডেলিগেট থাকলেও এর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এখানে ৫০ হাজার মানুষের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকছে। ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টাতেই সম্মেলনে প্রবেশ গেট খুলে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।