জাতিসংঘে বক্তব্য দেবেন শিনা চৌহান

91

জাতিসংঘে আয়োজিত তিন দিনের এক সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘পিঁপড়াবিদ্যা’-খ্যাত অভিনেত্রী শিনা চৌহান। সেখানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার শিক্ষা বিষয়ে বক্তব্য দেবেন ভারতীয় এই মডেল-অভিনেত্রী। এজন্য বুধবার ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে রওনা দিচ্ছেন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা। নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘে ১৬তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্মেলন আয়োজন করেছে অলাভজনক সংগঠন ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল। বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এটি। আগামী ২৮ জুন এতে বক্তব্য রাখবেন শিনা। এ সময় উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিশ্বনেতারা। সম্মেলনটি জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে সরাসরি দেখানো হবে। ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া দূত হিসেবে কাজ করছেন শিনা। যুব স¤প্রদায়ের মধ্যে মানবাধিকার শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে সংগঠনটি। বিশেষ করে জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটসকে ঘিরে শিক্ষাদান করে থাকে তারা।
শিনা বলেন, ‘মানবাধিকারের দূত হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সম্মানের। দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার শিক্ষার ব্যাপারে কাজ করছি। প্রত্যেক স্কুলে মানবাধিকারের শিক্ষাদান আমাদের স্বপ্ন। এবার জাতিসংঘের মতো প্ল্যাটফর্মে এই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে বক্তব্য দিতে পারবো ভেবে খুব ভালো লাগছে।’ বক্তব্যের বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে শিনা জানান— নারী-পুরুষের বৈষম্য, যৌন নির্যাতন, বাড়িঘরে নারীদের ওপর সহিংসতা, শিশুশ্রম, মেয়ে শিশুদের শিক্ষায় প্রতিকূলতা ও কন্যা নবজাতকের ভ্রুণ হত্যাসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন তিনি। বিপিএল-সূত্রে বাংলাদেশে বেশ পরিচিত মুখ শিনা চৌহান। ক্রিকেট ও সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে বাংলাদেশের দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন এই ভারতীয় মডেল-অভিনেত্রী। বিপিএল ছাড়াও দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংগীতানুষ্ঠান ও ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন শিনা। সবশেষ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ‘টিম ড্র’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ ছবিতে অভিনয় করে দুবাই ও সাংহাই চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনয়ন পেয়েছেন শিনা। ২০১১ সালে দক্ষিণী তারকা মামুতির বিপরীতে ‘দ্য ট্রেন’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সাবেক এই মিস কলকাতার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম অবলম্বনে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের পরিচালনায় দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে (মুক্তি ও পত্রলেখা) দেখা গেছে তাকে।