জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গিত করার আহব্বান

64

 

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে কর্মময় জীবনে দেশ, জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গিত করার আহব্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দীন। গত শনিবার চসিক পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাট্সের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও বিদায়-২০২০ উপলক্ষে ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাট্স এর অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আলী সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় চসিক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের সচিব ডা. জাহিদুর রহমান, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের প্রভাষক ডা. পলাশ দাশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাটসের প্রভাষক ডা. অনুপম দেব নাথ। এতে চসিক প্যানেল মেয়র হাসান মাহমুদ হাসনী, অধ্যক্ষ ডা. নুরুল আমিন, ডা. রোমানা শারমিনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র বলেন, শিঘ্রই এই প্রতিষ্ঠানের ম্যাটস কোর্সে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা বিএমডিসির সনদের অধিকারি হবে। এর মাধ্যমে ইন্টার্নী শেষে একজন শিক্ষার্থী চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন লেখার অধিকার প্রাপ্ত হবে। ইন্টার্নী এবং কোর্সের মাধ্যমে যা কিছু শিখা হয়েছে তা কিন্তু এখানে শেষ নয়, জ্ঞানের পরিধিকে আরো বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে রোগীকে সুচিকিৎসা দেয়া যায়, সেজন্য নিজেকে যোগ্য, দক্ষ ও জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সিটি মেয়র বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী বছর থেকে বিএসসি কোর্স চালু করা হবে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিএসসি কোর্স চালু করণে প্রাথমিক সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দেশের বৃহত্তর প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে ১৯৭৬ সালে সরকার ম্যাটস প্রতিষ্ঠা করে। এরপর বেসরকারি উদ্যোগে এই ধরণের প্রতিষ্ঠানের ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়।
চসিক পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাট্স এতদাঞ্চলে অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠান হতে হাতে কলমে পড়া লেখা শেষ করে গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা পযার্য়ে নিযুক্ত হয়ে মেডিকেল এ্যাসিসটেন্টগন চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে । তিনি বলেন প্রত্যেকটি রোগ নিরুপনী কেন্দ্র এবং হাসপাতাল সমূহে চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদদের ভূমিকা অনন্য। তারা প্রত্যাঞ্চলে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকে চিকিৎসকদের পাশপাশি মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট হিসেবে সফলতার সাথে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে। স্বাস্থ্য সেবা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে সরকারী উদ্যোগের সাথে সমন্বিত করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মেয়র প্রধানমন্ত্রীর ভিশনের কথা উল্লেখ করে বলেন প্রত্যেক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য এসব ইনস্টিটিউট এর ভূমিকা অনন্য। দেশ, জাতির সেবার মধ্যদিয়ে জীবিকা নিবারণের উত্তম শিক্ষা মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স। এ কোর্স সম্পন্ন করে তারা নিজেরাই স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য খাতকে সমৃদ্ধ করছে বলে মেয়র উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে মেয়র ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাট্স এর ক্যালেন্ডার মোড়ক উম্মোচন করেন এবং নবীন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি