জাকেরুল হককে মরণোত্তর জাতীয় পুরস্কার দেয়ার দাবি

36

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, অবিভক্ত চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক গভর্ণর, পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলের চীপ হুইপ, ১৯৬২ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও বাঁশখালী এলাকা থেকে পরপর দুইবার নির্বাচিত সদস্য, বাঁশখালী সাধনপুর ইউনিয়নের একাধারে ২২ বছর চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বক্সগবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, নিবেদিত প্রাণ জননেতা জাকেরুল হক চৌধুরীর ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি এম নুরুল হুদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. শওকত ইমরানের সঞ্চালনায় ১৩ জুলাই লালদিঘী পাড় আমানিয়া হোটেলে সন্ধ্যা ৭টায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান বলেন, সংগ্রামী জীবনের মূর্ত প্রতীক, জননেতা জাকেরুল হক চৌধুরী গ্রামের মেটো পথ থেকে উঠে এসে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য লাভের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়নসহ জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। জনসেবায় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক তিনি তমগা-ই-খিদমত পদবী লাভ করেন। কোন সক্রিয় আওয়ামীলীগ নেতাকে আইয়ুব খান কর্তৃক এটাই প্রথম স্বীকৃতি। আবার বঙ্গবন্ধুর আহŸানে তিনিই প্রথম এই পদবী প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি অসম্প্রদায়িক ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর অবদানকে স্মরণ করে তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভ‚ষিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ফেরিওয়ালা জাকেরুল হক চৌধুরীকে শত চেষ্টা করেও লোভ প্রলোভনে বশীভ‚ত করে নীতি আদর্শ হতে কেউ বিচ্যুতি ঘটাতে পারেনি। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার আন্দোলনের অন্যতম বীর তিনি। আওয়ামীলীগের দুর্দিনের কান্ডারী হয়ে দলের কর্মীদেরকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে দেননি। নির্লোভ, নিরহংকারী এই মানুষটির অবদান প্রজন্মের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি লায়ন মাহফুজুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, উপাধ্যক্ষ চন্দন দত্ত, কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশ, দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইদ্রিস, বীর মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. সালাম, লেখক ও কলামিস্ট কালাম চৌধুরী, শারদাঞ্জলি ফোরামের সভাপতি অজিত কুমার শীল, মহানগর শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি কালাম উদ্দিন চৌধুরী, হোমিওপ্যাথিক বোর্ড সদস্য ডা. এ. কে. এম ফজলুল হক সিদ্দিকী, সংগঠক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সজল দাশ, রোকন উদ্দিন আহমদ, বিল্লাল হোসেন, রতন চক্রবর্তী, নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ, অধ্যক্ষ ড. পরিমল চন্দ্র সাহা, মো. সাব্বির, নারীনেত্রী সালমা বেগম নূপূর, মো. আব্বাস, রতন ঘোষ, দিলীপ সেন গুপ্ত প্রমুখ। সভায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা কে. এইচ. এম তারেক। সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী ৩১ জুলাই সকাল ১১টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে জননেতা জাকেরুল হক চৌধুরীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরষ্কারে ভ‚ষিত করার দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। বিজ্ঞপ্তি