জলের কোনো ডাক

69

কোনো কোনো সমুদ্র রোজ ঢেউ খেলে গেছে এখানে চোখের কাছে নীলচে জলে ভিজে গেছে যেসব মধ্যরাত,ব্যথাতুর আহাজারিতে বেড়েছে হিম প্রকোপ, লোমক‚পের ভেতর শিরশিরে অনুভ‚তি রেখে দেখেছি জলের ডাক, কতোটা নীল ধরে রাখে এই যে বুক!

কোনো কোনো রাতে হৃদকম্পনে জাগে সময় কাঁটা,এই বুঝি এলে,চুপটি করে শুয়ে গেলে দরোজার ও পাশে শীতার্ত কোনো বিড়াল,আমি খুলে রাখি এই যে জানালা
যখনি আসবে বলে নিঃশব্দে পতিত হয়েছে ইপিলের সরু পাতা।

সে সব রাতে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ দ্যাখে গেছে একটি দুটি টিকটিকি প্রাণ, দেয়ালে সয়লাব কোলাহল
তন্দ্রার নামে লিপিবদ্ধ কতেক শোক,কাতর কণ্ঠে ডেকে গেছি প্রত্যাবর্তন,অমোঘ কোনো রাত-হাতপাশে নিঃসাড় পড়ে থাকে বেণী।

অতঃপর যখন জেগে গেলে মেঘের ভাঁজে যে চাঁদ,জানালার গ্রীল উপচে কোনো আলোর যে রূপে নৃত্য রেখে যায় এই নির্জন ঘর,তারই উল­াসের কাছে
আমি দ্যাখে গেছি চোখও হাসে কোনো কোনো সম্মিলনের ভেতর।

জলে জলে ভেসে গেলে এই যে বালিশ,কপোল ছুঁয়ে নির্ভার কোনো ক্লান্তি নাশিতে খেলা করে যায় যে তর্জনী
আদুরে নিঃশ্বাসে কেঁপে কেঁপে যে উদ্বেল বুক,