জলাশয় রক্ষার আন্দোলন প্রথম শুরু হবে বলুয়ার দীঘি থেকেই

25

 

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আনন্দের সাথে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন চট্টগ্রামের জলাশয় রক্ষার আন্দোলন প্রথম শুরু হবে বলুয়ার দীঘি থেকেই এবং সেটি আজকে থেকেই। তিনি বলেছেন, আজ এসি ল্যান্ড গিয়ে সরেজমিনে সব দেখবেন। ঈদের পর শুরু হবে দূষণ মুক্ত করার জন্য পরিস্কার করার অভিযান এবং সেটি এলাকার সবাইকে সাথে নিয়ে। তিনি আরও বলেছেন, বলুয়ার দীঘি উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে। সৌন্দর্য বর্ধন করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দেয়া হবে যাতে এলাকার মানুষ সুস্বাস্থ্যের চর্চা করতে পারে।
গত ১২ এপ্রিল জলাশয় বাঁচাও আন্দোলনের স্মারক লিপি গ্রহণ করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও সচিব জলাশয় বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোক্তা অধ্যাপক আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে বলুয়ার দিঘী প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোস্তফা আমান উল্লাহ, কুতুবউদ্দিনসেলিম, সুবির পালিত, রুস্তম আলী, নঈম সিদ্দিকী, পরিবেশকর্মী নেছার আহমেদ খান, নোমান উল্লাহ বাহার, খায়ের মোহাম্মদ, সেকান্দর আলী, হাফেজ নূরুল আজিম, আজিজুল হক প্রমুখ। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও সচিব জলাশয় বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোক্তা অধ্যাপক আবদুল আলীম স্মারক লিপি প্রদান পূর্ববর্তী বলুয়ার দিঘী প্রাঙ্গণে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে বলেন, চট্টগ্রামের ২০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী বলুয়ার দীঘি বিএসসিট অনুযায়ী সাড়ে ছয় খানি হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে এর অর্ধেকেরও অস্তিত্ব নেই।
দীঘির জায়গা দখল করে বহুতল ভবনসহ অনেক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এটি চট্টগ্রামের বৃহৎ একটি অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত জনগুরুত্বসম্পন্ন। এই দীঘির আশেপাশে রয়েছে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, আসাদগঞ্জ, কোরবানিগঞ্জ টেরিবাজারসহ দেশের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক এলাকা। যে কোন অগ্নি ঝুঁকির ক্ষেত্রে এই দীঘি হতে পারে জলের অন্যতম উৎস। এটির গুরুত্ব বিবেচনায় না এনে সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বার্থে কিছু ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে দীঘিটি ভরাট করে প্রতিনিয়ত সংকুচিত করে চলেছে। দীঘির পাড়ে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। মুসল্লীগন এই দীঘিতে একসময় অজু করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন।