জলাবদ্ধতা নিয়ে বসছে ৫ সংস্থা

27

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ (সিডিএ)। অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ হলেও জলাবদ্ধতা নিরসনে তেমন আশা দেখাতে পারেনি সংস্থাটি। তাই সামনের বর্ষাতে জলাবদ্ধতার শঙ্কা এখনই নিরসন করা না গেলেও প্রশমন করতে সমন্বয়ের বিকল্প দেখছেন না সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ খালগুলোর সাথে সংযুক্ত শাখা খাল-নালাগুলো পরিষ্কার করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করতে চসিক-সিডিএ-পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) সমন্বয় করবে। জনসচেতনতা সৃষ্টি ও অবৈধ দখল উচ্ছেদে সহায়তা দেবে জেলা প্রশাসন। ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে তথ্য ও নির্দেশনা দিবে চট্টগ্রাম ওয়াসা। যেকোনোভাবে জলাবদ্ধতার তীব্রতা কমাতে আগামী বুধবার (৫ জানুয়ারি) সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর ডাকে চসিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসবে এ পাঁচ সংস্থা। বিষয়টি পূর্বদেশকে নিশ্চিত করেছেন সিটি মেয়র নিজেই।
জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের এলাকায় সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দপ্তরপ্রধানরা সিটি মেয়রের সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকবেন। সভায় গৃহীত সিন্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়নের অগ্রগতিও সিটি করপোরেশনকে অবহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয় ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রে। এমন নির্দেশনার পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের আহব্বানে কয়েকটি সভা হলেও সেবা সংস্থাগুলোর অনাগ্রহে সমন্বয়ের আলো দেখাতে পারেনি নির্দেশনাটি। শুধু প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিপত্র নয়, মন্ত্রী-রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও সমন্বয়ের নামে বৈঠক হলেও প্রকৃতপক্ষে সমন্বয় হয়নি। তাই দুর্ভোগও কমেনি। এবার সত্যিকার অর্থে সমন্বয় হবে দাবি করে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী পূর্বদেশকে জানান, সিডিএ যেসব খাল নিয়ে কাজ করছে সেগুলোতে সমন্বয় হবে। মৌখিকভাবে কথা হয়েছে। তারা খাল পরিষ্কার করবে আমরা সংযুক্ত নালা পরিষ্কার করবো। এখন শুষ্ক মৌসুম চলছে। এ সময়ে কাজ এগিয়ে নিতে না পারলে আবারও জলাবদ্ধতা হবে। তাই যেকোনোভাবে সমন্বয় করে অন্তত ১৫টি খালের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে পারলে জলাবদ্ধতার তীব্রতা অনেক কম হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে সমন্বয় করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের বাইরে ২১টি খাল আছে। সাড়ে ছয়শ মিটার নালা রয়েছে। এসব সংস্কার না করলে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও কাক্সিক্ষত ফলাফল আসবে না। কেননা খালগুলো পুরো ড্রেনেজ সিস্টেমে একটা আরেকটার সাথে সংযুক্ত। সব মিলিয়ে আগামী বর্ষাকে সামনে রেখে একটি কার্যকরী সমন্বয় সভা হবে মনে করছেন মেয়র রেজাউল।
এদিকে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক কর্নেল শাহ আলী পূর্বদেশকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে কাজ চলছে। আর্থিক সংকটে ভুগছে মেগা প্রকল্প। তবে কাজে প্রভাব পড়েনি। আশা করছি অর্থছাড় ও বরাদ্দের বিষয়টি ঠিক হয়ে যাবে।