জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার

88

ইপসা ও কোস্ট ট্রাস্ট এর যৌথ আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সম্মেলন কক্ষে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলীয় অঞ্চলের বিপদাপন্ন জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের এমপি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন ও আঞ্জুমান আরা বেগম। সেমিনারে সভাপতি ও মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইপসার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। প্যানেল আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সাইন্স এন্ড ফিশারিজ’র সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশ, জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল আমিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা (বন ও পরিবেশ) শাফাত হোসেন, হালদা রক্ষা কমিটির সদস্য সাংবাদিক রেজা মোজাম্মেল। কোস্ট ট্রাস্ট’র সিজেআরএফ প্রকল্পের প্রোগ্রাম হেড এম এ. হাসান এর স্বাগত বক্তব্যের পর সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইপসার প্রকল্প ফোকাল মোরশেদ হোসেন মোল্লা।
প্রধান অতিথি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠীসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের সকলকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
এসময় বক্তারা উপক‚লীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে দ্রæত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বর্তমানে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকা পরিবর্তনের প্রভাবে তাদের জীবিকার ধরণ বদলে যাচ্ছে। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখন আর সাগরে আগের মতো বেশি সময় মাছ ধরা যাচ্ছে না। ঝড়ের সিগন্যাল পেলে মাছ ধরা ফেলে কিনারায় চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে, এছাড়া সাগরে নিয়মিত নিম্নচাপের সংকেত থাকায় দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে মাছ ধরতে যেতে পারছে না। ফলে তারা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকের ভাগ্য পরিবর্তন হলেও জেলেদের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে না। বক্তারা জেলেদের জন্য জাতীয় বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদান, প্রকৃত ও বাদ পড়া জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় আনা, মৎস্য অবরোধকালীন সময়ে জেলেদের বিকল্প জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আরও অধিক প্রকল্প গ্রহণ ও জেলেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশেষ গুরুত্ব প্রদানসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। বিজ্ঞপ্তি