জরুরি ভিত্তিতে কেনা হবে সাড়ে ৫ লাখ টন চাল

7

 

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার টন চাল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন পায়। সেই সঙ্গে চাল কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় বৈঠকে। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে গত ১০ ফেব্রূয়ারি একই কমিটিরে বৈঠকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কেনাকাটায় দরপত্রের সময়সীমা কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তখন বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক টেন্ডার করার পরে ৪০ থেকে ৪২ দিন অপেক্ষা করার কথা বলা ছিল। কিন্তু কিছু পণ্য আছে, যেমন- পেঁয়াজ, চাল, তেল- এ জাতীয় জিনিসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিনই বাড়ে-কমে। সেখানে এত লম্বা সময় কোনো টেন্ডার অপেক্ষা করে না।আগের আইনে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে দেশীয় বাজার থেকে কিছু কিনলে প্রয়োজনে সময় কমানোর কথা বলা থাকলেও আন্তর্জাতিক কেনাকাটা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু ছিল না। সেজন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব আমলে নিয়ে আইএমইডিকে আইন ও বিধি সংশোধনের পরামর্শ দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা বুঝতে পারলাম আন্তর্জাতিক বাজার অত্যন্ত অস্থির। চাল, তেল, গমসহ এসব জিনিসের দাম উঠানামা করে খুব দ্রুত। সেজন্য কম সময় দরকার এখানে। বেশি সময় দিলে পরে আমরা কমপিটিটিভ প্রাইস পাব না। আন্তর্জাতিক বিডাররা বিড করবে না। সেজন্য আমরা আইনটা সংশোধন করছি।
আইন সংশোধনের পর নতুন করে খাদ্য আমদানি সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হয়েছে। গতবার বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে।
প্রয়োজনের বেশি যেন আমদানি করা না হয় সে কথা বলে দেওয়া হয়েছে। বেশি আমদানি করলে বাজারের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। সে বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয়ে দেখবে। যেটুকু ঘাটতি রয়েছে সেটা আমদানি করার জন্য তাদেরকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, বলেন অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ‘বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নির্মাণ ও পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) অপারেটর নিয়োগের প্রস্তাবও অনুমোদন পায়।