জরিমানার মাধ্যমে ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে

52

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘জনগণকে বেত্রাঘাত করে কখনো ধূমপান বন্ধ করা যাবে না। তাই আর্থিক জরিমানা করে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। পাবলিক প্লেসে ধূমপান করার অপরাধে জরিমানার পরিমাণ ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সরকার এখন মোবাইল কোর্টের প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা, ইভটিজিং প্রতিরোধ, পাবলিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রতিরোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট জনপ্রিয়তা লাভ এবং তাৎক্ষণিক বিচার পাওয়ায় জনগণের মধ্যে বিচার কার্যক্রমের প্রতি আস্থা তৈরি হওয়াতে মোবাইল কোর্টের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি গতকাল রবিবার ইপসা আয়োজিত চট্টগ্রাম শহরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনের অবস্থা শীর্ষক জরিপের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করার দায়িত্ব শুধু সিটি কর্পোরেশন নিবে না। এটি সকল বিভাগকে নিতে হবে। সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে ধূমপানের বিষয়ে লিফলেট এবং জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
আব্দুল মান্নান বলেন, একসময় মানুষ তামাক পাতা, হুক্কা, বিড়ি ইত্যাদির মাধ্যমে ধূমপান করতেন।
কিন্তু বর্তমানে বিড়ির ফ্যাক্টরি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। বিড়ির মালিকরা এখন অন্য ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। বিড়ি এখন মানুষ নেন না। কারণ আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। তাই বিড়ি ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ এটা বুঝে না যে সিগারেট হচ্ছে বিড়ির চেয়ে ভয়ংকর এবং মারাত্মক। যার কারণে অনেক মানুষ ফুসফুসের সমস্যাসহ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।
তিনি বলেন, পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করার জন্য আমি মনে করি মোবাইল কোর্টই সর্বোত্তম। কারণ মানুষকে পেটালে তার মনে একটা ক্ষোভ জন্মাবে, তিনি ওটার প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করবেন। সুতরাং আর্থিকভাবে জরিমানা করলে, পরবর্তীতে তিনি সংশোধন হবেন।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামীসহ ইপসার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।