জরাজীর্ণ রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা ভবন

19

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মূল ভবনটি দুটি জরাজীর্ণ। মাঝেমধ্যেই ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সর্বশেষ গত সোমবার ভবনের জরুরী বিভাগের সামনে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিকট শব্দে এটি খসে পড়লে আতংক ছড়িয়েছে পড়ে রোগী ও স্বজনদের মাঝে। এতে অল্পের জন্য কয়েকজন রোগী রক্ষা পান। প্রত্যক্ষদর্শী মো. জয় বলেন, দুপুরের দিকে হাসপাতালে এক স্বজনকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যায়। এসময় ভবনের প্রবেশপথেই হঠাৎ বিকট শব্দে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে।
এতে অল্পের জন্য কয়েকজন রোগী রক্ষা পেলেও, আতংকিত হয়ে পড়েন সবাই। হাসপাতালের মূল ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ। অপরদিকে ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর সাথে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ছাদ এর অবস্থা আরো ভয়াবহ। বছরের পর বছর ঝুঁকিপূর্ণ ছাদেও নিচে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সেবা কার্য্যক্রম চালিয়ে আসছে। অফিসের ভিতরে বাহিরে ছাদের পলেস্তরা উঠে বড় বড় ছাদ ফাটল দেখা দিয়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অত্যান্ত ঝুঁকির মাঝে অফিস করছে। অফিস সংকটের কারণে মাঠের কর্মকর্তা ও কর্মচারী নারীরা এসে অফিসে বসতে না পেরে অফিসের সামনে দাড়িয়ে থাকে। এতে তাদের নানা ভাবে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। সেবামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি বছরের পর বছর এ অবস্থার কোন পরিবর্কন হয়নি। ছাদ সংস্কার কিংবা পুরা ভবন নির্মানের কোন ব্যবস্থা নেয়নি পরিবার পরিকল্পনা উদ্ধতন কর্তপক্ষ কিংবা সরকারের উচ্চ মহল ও উপজেলা পরিণদ ও উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সহকারী সৌরভ তালুকদার জানান অফিসটি একেবারে বসবাস অনুপযোগি। অফিসের ছাদে কিবা বাহিওে ছাদে মারাতœক ফাটর দেখা দিয়েছে। ভবনের প্রায় স্থানে পলেস্তার উটে বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। আমরা প্রান হাািনর আশংকা নিযে প্রতিদিন অফিস করি। অফিসে সেবা নিতে আসা রোগীরা প্রানের ভয় উপেক্ষা করে ঝুকির মাঝে সেবা নিচ্ছে। প্রায় সময় ছাদের পলেস্তার খসে পড়ে। এময় অফিসের ছাড় পাশে আতংক সৃষ্টি হয়। ভবনটি পূর্ণ নির্মান জরুরী হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অফিসে সেবা নিতে আসা চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম জানান, আমাদের প্রায সময় আসতে হয় এ অফিসে। ছাদের বড় বড় অংশ জুড়ে পলেস্তারা উঠে গিয়েছ্।ে এগুলো দেখলে ভয় লাগে। এ ভবনটি পূর্ন নির্মান করার দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তুপক্ষের নিকট। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রাবেয়া বেগম জানান, পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ভবনটি সম্পুর্ণ বসবাস অনুপযোগি। এটি পূর্ননির্মান জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রান হানি ঝুকি নিয়ে অফিসে সরকারের গুরুর্ত¡পূর্ন কার্য্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ( অতিরিক্ত দায়িত্বে) কাউসার আক্তার পপি জানান, আমাদের এ অফিসটি বসবাসের অনুপযোগি হয়েছে অনেক বছর আগে। ভবনটি পূর্ণ নির্মান করলে সেবা কার্য্যক্রমে ব্যাপক গতি আসবে। উপজেলা সাস্থ্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘ভবনটি ১৯৬৫ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ ৫৭ বছরের পুরাতন ভবনটিতে মাঝেমধ্যেই পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা ঘটছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিভিন্ন সময় লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। এটি এতটাই বেহাল অবস্থা যে, পুনঃনির্মাণ ছাড়া ভবনটি সংস্কার করে কোন লাভ নেই। লিখিতভাবে জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন মহলে ফোনেও অবহিত করা হয়েছে, যেনো নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।