জরাজীর্ণ রাঙামাটি কারাগার

6

মাদার ডিস্ট্রিক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা। সব কিছুর পরিবর্তন হলেও প্রায় ৯৭ বছরের পুরাতন কারাগারটি নতুনত্ব পায়নি। পুরাতন আমলের বিল্ডিং ও সেমিপাকা কারাগারটি দাঁড়িয়ে আছে তবলছড়ি এলাকায়। বাহিরের দৃশ্য দেখা গেলে মনে হয় ভেতরে চাক চিক্ক হবে। আসলেই তা নয় ভেতরে একেবারে নড়বড়ে অবস্থা। রাঙামাটি কারাগারটি ১৯২৩ সালে উপ-কারাগার হিসেবে স্থাপিত হয়েছিল। পরে ১৯৮৮ সালে জেলা কারাগারে রুপান্তরিত হয়েছে। জেলা কারাগারটি আয়তন ২.৭৬ একর। সম্পূর্ণ নিজস্ব জায়গায় নির্মিত হয়েছে এ কারাগারটি। কারাগারে বন্দীদের ধারণ ক্ষমতা পুরুষ ১৪০ জন ও মহিলা ৫ জন। কারাগারের ভেতরের অবকাঠামো একেবারে নাজুক। যা পুরাতন হতে হতে ব্যবহারের অনুউপযোগি হয়ে পড়েছে। ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ২তলা ভবন রয়েছে ২টি, ১ কক্ষ বিশিষ্ট ১তলা ভবন রয়েছে ১টি, ১টি টিন সেট আধা পাকা ঘর ও একটি রান্না ঘর রয়েছে।
কারাগারের ভেতরে মহিলাদের জন্য একটি বন্দী ব্যারাক রয়েছে সেটাও জরাজীর্ণ। অপরদিকে কর্মকর্তা কর্মচারিদের জন্য নেই কোন আবাসনের সুব্যবস্থা। এ দিয়েই চলছে রাঙামাটি জেলা কারাগারটি। সূত্রে জানা যায়, ৯৭ বছরের ও বেশী এই পুরাতন জেলা কারাগারটি নতুন করে নির্মাণের জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের বরাবরে বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন সুরাহ হচ্ছে না। তাই এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন রাঙামাটিবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য কারাবরণকারী বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, কারাগারের মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে কিন্তু শত বছরের মত পুরাতন কারাগার ভবন নিয়ে আমরা সব সময় আতংক থাকতাম। তবে অন্যান্য সব কিছু পরিপাটি ছিল। আরেকটি বিষয় অপূরণ ছিল সেটা হলো মেডিকেল ব্যবস্থা। কারাবন্দীরা অসুস্থ হলে একমাত্র ভরসা সদর জেনারেল হাসপাতাল।