জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক ৩ মুখ্যমন্ত্রী ফের গৃহবন্দী

5

পূর্বদেশ ডেস্ক

গৃহবন্দী করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাদের বাড়ির সামনে রাখা হয়েছে পুলিশের ট্রাক। বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে নেতারা যাতে শান্তিপূর্ণ ধরনায় বসতে না পারেন, সে জন্যই এ ব্যবস্থা।
গতকাল শনিবার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল পাঁচদলীয় জোট গুপকর অ্যালায়েন্স। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ জোটের এ কর্মসূচির কথা জানিয়ে বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তারা ‘ডিলিমিটেশন কমিশন’ এর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন।
রাজ্য দ্বিখন্ডিত হওয়ার পর এ কমিশন জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার সীমানা পুনর্গঠনের কাজে হাত দেয়। গত ডিসেম্বর মাসে কমিশন সুপারিশ করে, নতুন এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভার মোট আসন বাড়িয়ে করা হবে ৯০। এর মধ্যে জম্মু অঞ্চলে বাড়বে ৬টি আসন। ৩৭ থেকে বেড়ে এ অঞ্চলের মোট আসন হবে ৪৩।
কাশ্মীর অঞ্চলে একটি আসন বেড়ে হবে ৪৭। এ প্রস্তাব কার্যকর হলে জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে আসনসংখ্যার ব্যবধান ৯ থেকে কমে ৪-এ দাঁড়াবে। উপত্যকার রাজনীতিকদের অভিযোগ, সরকার গঠনে হিন্দুপ্রধান জম্মুকে সুবিধা পাইয়ে দিতে বিজেপি এ ব্যবস্থায় এগোচ্ছে।
উপত্যকার সব রাজনৈতিক দল এই আসন বিন্যাসের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কমিশনের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে। শনিবার ওই প্রস্তাবের বিরোধিতার জন্য শান্তিপূর্ণ ধরনার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তা বানচাল করতেই সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করা হয়। খবর বার্তাসংস্থার
গতকাল সকালেই গৃহবন্দিত্ব নিয়ে টুইট করেন ওমর আবদুল্লাহ। নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘নতুন বছর শুরু হলেও কিছু কিছু জিনিস বদলায় না। জম্মু-কাশ্মীরে বেআইনিভাবে মানুষজনকে গৃহবন্দী করে রাখছে। সাধারণ স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনকেও প্রশাসন ভয় পাচ্ছে। আমাদের বাড়ির ফটকের সামনে পুলিশ তাদের ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখেছে, যাতে জোটের নেতারা শান্তিপূর্ণ ধরনায় বসতে না পারেন।’
টুইট করেছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। তিনি লেখেন, ‘সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ও রাজ্য দ্বিখÐিকরণের ঢাক অহরহ পিটিয়ে চলেছে। অথচ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতার প্রশ্নে অসহিষ্ণু। অসংখ্যবার আমাদের গৃহবন্দী করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাতে দিচ্ছে না।’