জন্ম থেকেই এক হাত নেই তবুও মারধরের মামলার আসামি!

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসতঘর ভাঙচুর, দেড় লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ দেড় লাখ টাকা লুটের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন লোহাগাড়া থানার কলাউজান এলাকার মোস্তাক আহমদ চৌধুরী নামে একজন। গত ৬ মে দুপুর ২টা থেকে ৪টার মধ্যে সংঘটিত এই ঘটনায় প্রতিবেশি আবদুস ছবুর আজাদ ও মোহাম্মদ জহিরসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। আদালতে দায়ের করা মামলাটি লোহাগাড়া থানায় রেকর্ড হয় ১১ মে। পাল্টা হিসেবে প্রতিপক্ষ উল্লেখিত বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা ঠুকে দেয়। এই মামলার বাদী আবদুস ছবুর আজাদের ভাগিনা ফরিদুল আলম। মামলার আরজিতে অভিযোগ আনা হয়েছে মোটাদাগে মারধরের বিষয়কেই। বিপত্তিটা এখানেই। মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ফরিদুল আলমের মামলার এজাহারে মারধরের যে কথা বলা হয়েছে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বরং ফরিদুল আলম মামলার এজাহারে তার আহত হওয়ার যে কথাগুলো বলেছেন তা কয়েকমাস আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার দ্বারা সংঘটিত। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যে অঙ্গে আঘাত পান ফরিদুল মামলার এজাহারে সেই অঙ্গের কথাই বলেছেন বলে জানান মোস্তাক আহমদমের পরিবারের সদস্যরা। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফরিদকে মারধরের অভিযোগ খাড়া করে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে আসামি আছে মোস্তাক আহমদের এক প্রতিবন্ধি ছেলেও। জন্ম থেকেই যার একহাত নেই। হাতছাড়া কিভাবে তিনি মারামারি করলেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করে মামলা থেকে নিস্তার দিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর পরিবার। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (ডিসি) কাছে দেয়া এই দরখাস্ত গ্রহণ করে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ৩ জুলাই। জেলা প্রশাসকের পক্ষে দরখাস্তটি সিনিয়র সহকারী কমিশনার গ্রহণ করে তা চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়েছেন।