জনবল সংকটে ব্যাহত চিকিৎসা সেবা

52

জনবল সংকটে ধুকছে চট্টগ্রামের ১৭টি পরিবার পরিকল্পনা অফিস। চট্টগ্রাম জেলার থানা ও উপজেলা মিলে ১৭ অফিসের ১৪টিতেই নেই পরিবার পরিকল্পনা অফিসার। এছাড়া মেডিকেল অফিসার ও পরিকল্পনা সহকারীসহ পদগুলোর অধিকাংশই খালি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত কর্ণফুলী উপজেলাসহ চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা এবং মহানগরের ডবলমুরিং ও পাঁচলাইশ থানা মিলিয়ে চট্টগ্রাম জেলার ১৭টি পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মধ্যে ১৪টিতেই নেই পরিবার পরিকল্পনা অফিসার। ১৭টি পদের বিপরীতে সহাকার পরিবার পরিকল্পনা অফিসার রয়েছে ৬টিতে। বাকী ১১টি পদই শূন্য। ৪১টি পদের মধ্যে মেডিকেল অফিসার রয়েছে ২০টি পদে। অবশিষ্ট ২১ পদই খালি। ১৫টি পরিবার কল্যাণ সহায়িকা পদের মধ্যে ১৩টিই খালি। এছাড়া পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকের ২৭৯ পদের বিপরীতে পদায়ন হয়েছে ১৪৩টি পদে। বাকী ১৩৬ পদই খালি। পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (ডোরস্টেপ) ৯৯৬টি পদের বিপরীতে পদায়ন হয়েছে ৭৩৩টি। অবশিষ্ট ২৯৩ পদ খালি রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ রয়েছেন একাধিক অফিসের দায়িত্বে।
ডবলমুরিং থানার পরিবার পরিকল্পনা অফিসার খোরশেদ আলম অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পালন করছেন কর্ণফুলী উপজেলার দায়িত্ব। তিনি পূর্বদেশকে বলেন, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে ঝামেলায় পড়তে হয়। দুই অফিসের দৌড়াদৌড়িতে একটিতেও ভালোভাবে কাজ করা যায় না। মূলকথা হচ্ছে সময়টা ভাগ হয়ে যায়। ফলে কোনো কাজই যথাসময়ে সম্পন্ন হয় না।
চট্টগ্রামের আনোয়রা, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, ফটিকছড়ি, পাঁচলাইশ, লোহাগাড়া, স›দ্বীপ, পটিয়া, সীতাকুন্ড ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এছাড়া হাটহাজারী উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আনোয়ারুল আজিম উপপরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় বর্তমানে এখানেও পরিকল্পনা অফিসারের পদটি খালি রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পরিবার অফিসের উপপরিচালক ডা. উ খ্যে উইন পূর্বদেশকে বলেন, জনবল নিয়োগের বিষয়টি চলমান রয়েছে। করোনাকালীন অনলাইনে আবেদন করেছে। যা এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে। বিভিন্ন কারণে দেরি হচ্ছে বিধায় বিভিন্ন উপজেলা অফিসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাতে করে সেবা কার্যক্রমে ব্যাঘাত না ঘটে। বর্তমানে সারাদেশে ১ হাজার পরিবার কল্যাণ সহায়িকার ট্রেনিং চলছে। এরা ট্রেনিং শেষে কর্মস্থলে যোগদান করলে এ পদের জনবল সংকট অনেকটা কমে যাবে। তবে জনবল সংকট থাকলেও করোনাকালে এই পরিকল্পনা অফিসগুলোই পথ দেখিয়েছে নাগরিকদের। অসংখ্য গর্ভবতী মহিলা এসব পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে সেবা নিয়েছেন।