জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আনোয়ারার বিনোদন স্পট ‘মেন্না গার্ডেন’

342

খালেদ মনছুর, আনোয়ারা

আনোয়ারার ‘মেন্না গার্ডেনে’ ছুটির দিনে উপচে পড়া ভীড় পর্যটকদের। কক্সবাজার, পারকী সৈকতের পর বটতলীর মেন্না গার্ডেন নজর কেড়েছে ভ্রমণ প্রিয় মানুষের। ব্যাক্তি মালিকানাধীন দৃষ্টিনন্দন এই পার্কে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন আনোয়ারা ছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার পর্যটকরা। চট্টগ্রাম শহর থেকেও অনেকে আসছেন বেড়াতে। গত শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে হাজারো পর্যটকের ভীড় জমেছে মেন্না গার্ডেনে। অনেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসছেন এই পার্কে। প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দে মাতোয়ারা হচ্ছেন ছোট-বড় সবাই। পার্কের উদ্যোক্তা মেন্না চৌধুরী জানান, আমি বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে জাপানসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরেছি। সেখানে বিদেশীদের কাছ থেকে দেখে দেশে একটি পার্ক করার প্রবল ইচ্ছা জাগে। তিন বছর আগে পৈতৃক দশ একর জমিতে এই পার্ক স্থাপন করার কাজ শুরু করি। কম খরচে গ্রামের মানুষের চিত্ত বিনোদনের জন্য আমার এই প্রচেষ্টা। আশাকরি সকলের সহযোগিতায় আমার প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখতে পেয়েছে। সরেজমিন পার্ক ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি দেশী বিদেশী নানা প্রজাতির ফুলের গাছ। সামনে একটু এগিয়ে গেলেই বিশালকার লেক। লেকে দর্শনার্থীদের ভ্রমণের জন্য রয়েছে নৌকা। লেকের পানিতে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছে ভরপুর। মাছগুলো দর্শণার্থীদের আবার সালামও জানায়। অর্থাৎ, হাততালি দিলে ভেসে উঠে। লেকের ঠিক মাঝখানে রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ। লেকের চতুর্পাশে রয়েছে ফুলের বাগান। মাঝখানে রয়েছে দর্শণার্থীদের চলাচলের রাস্তা। দর্শণার্থীরা লেকের সৌন্দর্য চারপাশে ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, পার্কের কাজ এখনো চলমান। এখানে ভিআইপিদের জন্য নির্মাণ করা হবে হেলিপ্যাড। যাতে তারা হেলিকপ্টারে করে সরাসরি পার্কে এসে নামতে পারেন। এছাড়া থাকবে সুইমিং পুল, কৃত্রিম জলপ্রপাত। তবে কাজ অসমাপ্ত থাকলেও এবারের ঈদের আগে খুলে দেয়া হয় মেন্না গার্ডেন নামের এই পার্ক। ঈদে বিপুল পরিমাণ দর্শণার্থীর সমাগম হয় এবার। পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা রাসেল চৌধুরী জানান, অত্যন্ত চমৎকার একটি স্থান। পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছিলাম। এখানে এসে আমার পরিবারের সবাই মুগ্ধ। স্থানীয় ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, মেন্না চৌধুরী একজন সুন্দর মনের অধিকারী মানুষ। তিনি চাইলে এখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কিছু করতে পারতেন। আজকে পার্কের কারণে এখানে নানা স্থান থেকে দর্শণার্থীরা আসছে। এতে এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল হচ্ছে। পার্কে কর্মচারীরা কাজ করছেন। স্থানীয় অটোচালক ব্যবসায়ীসহ সকলেই লাভবান হচ্ছেন।
জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, মেন্না গার্ডেনের কথা আমি অনেকের কাছে শুনেছি। দেশে এখন ভ্রমনপ্রিয় মানুষের চেয়ে বিনোদন স্পট অনেক কম। বিত্তবানেরা এভাবে বেসরকারিভাবে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণে এগিয়ে আসলে মানুষের চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা হবে।