জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকা যাচাই হচ্ছে

94

করোনা ভাইরাসজনিত দুর্যোগে মানবিক সহায়তার আওতায় চট্টগ্রামের এক লক্ষ ৮০ হাজার পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দিবে সরকার। চলতি মাস থেকেই নির্ধারিত উপকারভোগীরা প্রতিমাসে এসব চাল বরাদ্দ পাবেন। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহ করে তা ১০ শতাংশ হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌরসভায় যাচাই-বাছাই করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যাচাইকাজ শেষেই উপকারভোগীদের চাল বরাদ্দ দিবে মন্ত্রণালয়। এর আগে বিভিন্ন ধাপে চট্টগ্রামে চার হাজার ৩২ মে. টনচাল, এক কোটি ৩৮ লক্ষ নগদ টাকা ও ৩০ লক্ষ টাকার শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী পূর্বদেশকে বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৮০ হাজার ও উপজেলাগুলোতে এক লক্ষ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। আপাতত এক লক্ষ ৮০ হাজার পরিবার উপকারভোগী এসব চাল পেলেও পরে বরাদ্দ বাড়ালে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধিরা তালিকা করে উপজেলা পর্যায়ে জমা দিয়েছে। জমা দেয়া তালিকা যাচাই-বাছাই, সংশোধন, সংযোজন শেষে মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট সফটওয়ার ব্যবহার করে উপজেলা থেকেই উপকারভোগীদের তথ্য আপলোড করা হচ্ছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিলেই আমরা চালগুলো উপ-বরাদ্দ দিব।’ জানা যায়, বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা থেকে জনপ্রতিনিধিরা উপকারভোগীদের যে তালিকা পাঠিয়েছেন তার ১০ শতাংশ যাচাই-বাছায়ান্তে সত্যায়ন সনদ প্রদান করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রেরিত তালিকার কমপক্ষে ১০ শতাংশ প্রত্যয়নকৃত সনদে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তালিকার ১০ শতাংশ ট্যাগ অফিসার কর্তৃক প্রত্যয়ন সনদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত সনদে জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিস্বাক্ষর করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। তালিকায় নাম থাকা উপকারভোগীদের অবশ্যই নিজস্ব মোবাইল নাম্বার অথবা ব্যাংক একাউন্ট সংগ্রহে রাখার নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলার উপকারভোগীদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকিতে অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের দুইজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. নজরুল আনোয়ার এবং জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক হারুন অর রশিদ মোল্লাকে তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বাঁশখালীর সাধনপুরে তালিকা যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, ‘ভোটার আইডির সাথে মিলিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের তালিকা যাচাই করা হচ্ছে। প্রথমত দেশের নাগরিক কিনা, দ্বিতীয়ত প্রকৃত গরীব ও অসহায় কিনা সেগুলোই চিহ্নিত করা হচ্ছে। প্রতিটি তালিকার দশ শতাংশ হিসেবে এ তালিকা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’