ছয় মাস পর মায়ের কোলে ফারহান

16

কোতোয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডে জনৈকা তসলিমা ঝর্ণার বাসা থেকে ফারহান নামে এক শিশু অপহৃত হয়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ ঘটনাটি ঘটলেও ছয় মাস পর সিলেট থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অপহরণকারী সুলতানা বেগম সুমি ও মো. ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জনৈক ঝর্ণার বাসায় সুসম্পর্কের সূত্র ধরে যাওয়া-আসা করতো অপহরণকারী সুমি। সুমি আসা-যাওয়ার সুবাদে ঝর্ণার আট মাস বয়সী শিশু ফারহানকে কোলে নিয়ে আদর করতো। একসময় ঝর্ণা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে চোখের পলকেই শিশু ফারহানকে নিয়ে পালিয় যায় সুমি। অপহরণকারী সুমি শিশুটিকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করলেও পায় মাত্র ৯০০ টাকা। এদিকে কোলের সন্তানকে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন মা-বাবা। সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও ফারহানের কোনো সন্ধান মিলেনি। পরে ফারহানের বাবা কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন জানান, কোতোয়ালী থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রটি সিলেটের হবিগঞ্জে অবস্থান করছে বলে খবর পায়। কোতোয়ালী থানা পুলিশ সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু ফারহানকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। চট্টগ্রামে এসে পুলিশের টিম শিশুটিকে মায়ের কোলে তুলে দেয়।