ছয়ে পাঁচ হাফসেঞ্চুরি বাংলাদেশের প্রথম

14

পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের রানের স্রোত স্পর্শ করেছে রেকর্ড বইয়ের অনেক পাতা। ব্যক্তিগত অনেক মাইলফলকের পাশে ধরা দিয়েছে দলীয় অর্জনও। তৃতীয় সকালে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ফিফটিতে যেমন হয়ে গেছে আরেকটি কীর্তি, যা বাংলাদেশ পারেনি আগে কখনোই। টেস্টের আঙিনায় প্রায় ২১ বছর আর ১২২ ম্যাচের পথচলায় এই প্রথম এক ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই খেলতে পারলেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। ম্যাচের প্রথম সকালে তামিম আউট হন ৯০ রানে। পরদিন শান্ত ফেরেন ১৬৩ রানে, ১২৭ করে মুমিনুল। শুক্রবার তৃতীয় দিন সকালে লিটন দাস আউট হন ৫০ রান করে। ইনিংস ঘোষণার সময় মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ৬৮ রানে। প্রথম ছয়ের কেবল সাইফ হাসানই যোগ দিতে পারেননি রান উৎসবে। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন তিনি শূন্য রানে। প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচ ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস প্রথমবার হলেও সব পজিশন মিলিয়ে এক ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া পাঁচ ইনিংস আগে দুবার দেখেছে বাংলাদেশ। প্রথমবার ২০১২ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে। সেবার ওপেনিংয়ে তামিম করেন ৭২, চারে নেমে নাঈম ইসলাম ১০৮, পাঁচে সাকিব আল হাসান ৮৯। ছয়ে নেমে মুশফিক ৪৩ রানে আউট হলেও সাতে নাসির হোসেন করেন ৯৬ ও আট নম্বরে মাহমুদউল্লাহ ৬২। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে। সেবারও ওপেনিংয়ে তামিমের ফিফটিতে শুরু, করেন ৫৬। তিনে মুমিনুল করেন ৬৪। পরে মহাকাব্যিক এক জুটির পথে পাঁচে নেমে সাকিব ২১৭ ও ছয়ে মুশফিক ১৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। সাতে নেমে সাব্বির রহমান অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে।