ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

66

‘আমার নাম খালেদা বেগম। আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। একজন সাইফুল হক ও অপরজন মুজিবুল হক। মেয়ে নিলুফা বেগম। দূরারোগ্য রোগে আমার মেয়েটাও মারা যায়। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমার বড় ছেলে সাইফুল হক নানাবিধ অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাÐে জড়িত হয়ে পড়ে, এমনকি আমি গর্ভধারিনী মা হয়েও তার সন্ত্রাসী কর্মকাÐ থেকে রেহাই পাচ্ছি না। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সোনালী ব্যাংক সিরাজউদ্দৌলা শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নং ৪৫৯/এ সঞ্চয়ী আমানত এর ৪০ লক্ষ টাকা জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সে আত্মসাৎ করে। এই ব্যাপারে আমি এবং আমার ছোট ছেলে মুজিবুল হক প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে মারধর করে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। এমনকি বহুবার আমার বড় ছেলে ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তার গলাটিপে শ্বাসরুদ্ধ করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে যার প্রতিবাদে আমার ছোট ছেলে মুজিবুল হক সাইফুল হকের বিরুদ্ধে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জি আর মামলা নং৬৫৯/১২ দায়ের করে।’
গতকাল শনিবার বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হল মিলনায়তনে ছেলে কর্তৃক গর্ভধারিনী মাকে মারধর করে বাসা থেকে বাহির করে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন খালেদা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তার দ্বিতীয় পুত্র মো. মুজিবুল হক এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর সাইফুল হক পুনরায় আমাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি সাইফুল হক একা ভোগ করার জন্য তার নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য আমার ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আদালতে মামলা চলাকালীন অবস্থায় আমি ও আমার ছোট ছেলে মুজিবুল হক চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি কেননা মামলাতে বিজ্ঞ আদালত ছেলে সাইফুল হককে জেলে পাঠিয়ে দিলে তার স্ত্রী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাই আমার ছেলে সাইফুল হকের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং আমার জীবদ্দশায় সে শাস্তি দেখে যেতে চাই বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন খালেদা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খালেদা বেগম, মো. আব্দুল হালিম ও মো. মুজিবুল হক।