ছুটির দিনে জমেছে বইমেলা

23

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পাঠক দর্শনার্থীর সরব উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা। পুরো মেলা প্রাঙ্গণে পাঠক-দর্শনার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। ছুটিরদিনে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন তরুণ-তরুণীরা। আবার কেউ পরিবার নিয়ে, বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে, আবার কেউ এসেছেন প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। বিকালে শিশু ও বড়দের আগমনে মুখর হয়ে উঠে বইমেলা প্রাঙ্গণ।
স্টলগুলোতে ছিল সব বয়সী বইপ্রেমীদের ভিড়। বই হাতে নিয়ে মলাট উল্টিয়ে দেখছিলেন তারা। স্টল ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই কিনছেন মেলায় আসা পাঠক দর্শনার্থীরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
গতকাল ছিল মেলার দশম দিন। ইতোমধে মেলায় এসেছে বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত নতুন বই। ইতোমধ্যে পাঠপ্রিয়তা পেয়েছে বেশ কয়েকটি বই। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন থেকে বের হওয়া আকাশ ইকবালের ‘কিংবদন্তি মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী’, তকিব তৌফিকের ‘হিউম্যান বার্গার এন্ড ব্লাড ক্যাফে’, অমল বড়ুয়ার ‘গৈরিক বীর’ ও ‘সমকালীন অধ্যান’ এবং সাদিয়া আফরিনের কবিতার বই ‘ভাবনার ভায়োলিন’। প্রেসক্লাব স্টলে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে সাংবাদিক আবু মোশাররফ রাসেলের গল্পগ্রন্থ ‘মায়াভবন’ এবং সাংবাদিক আহমেদ কুতুবের ‘কারাগারের অন্দরমহল’ বইটি। আপন আলো প্রকাশন থেকে বের হওয়া আজাদ বুলবুলের ‘করোনাকালের কাসীদা’, অঞ্জন নন্দীর ‘মেয়েটি কথা রেখেছিল’, শামসুদ্দীন শিশিরের ‘আপনাকেই বলছি স্যার’ ও ‘প্রিয় শিক্ষার্থী তোমাদের বলছি’, কাঞ্চন মহাজনের চট্টগ্রামের নামকরণের ইতিকথা। বিদ্যানন্দ স্টলে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে কিশোর কুমার দাশের বই ‘অদেখা’। শৈলি প্রকাশনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ড. আনোয়ারুল আলমের বই ‘সাতরঙা জীবন’, অধ্যাপক বিচিত্রা সেনের ‘জাগিয়া উঠিল প্রাণ’ লিপি বড়ুয়ার ক্ষুধার্ত আঁধার হাসে’। পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে বিক্রিও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
ঐতিহ্য প্রকাশনের মো. হামিদ পূর্বদেশকে বলেন, ছুটির দিনের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি থাকে। আজকেও (শুক্রবার) তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকাল ১০টা থেকে মেলা শুরু হলেও উপস্থিতি বাড়তে থাকে বিকেল ৩টার পর থেকে। উপস্থিতি বাড়ায় বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
শৈলি প্রকাশনের আরিফ রায়হান বলেন, এবারের বই মেলার শুরুতে বিক্রি কিছুটা কম ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে বই বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে সপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি বেশি হয়। ফলে বিক্রিও বাড়ে। আমাদের স্টলগুলোতে তুলনামূলকভাবে শিশুতোষ বইগুলোই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বইমেলা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু) জানান, মেলায় ক্রেতার উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে, বইপ্রেমীরা ভিড় করছেন। আমরা আশাবাদী, মেলায় বইপ্রেমীদের ভিড় শেষ দিন পর্যন্ত থাকবে। বিকিকিনিও ভাল হচ্ছে। বন্ধের দিন শুক্র-শনিবার বেশি মানুষ আসে।