ছাত্রলীগ নেতার দুই দেহরক্ষী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

24

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের দুই দেহরক্ষী পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিহত দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলাম সন্ত্রাসী ছিল। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গত শুক্রবার মধ্যরাতে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের বকচরা মোড়ে তাদের নিয়ে অভিযানে গেলে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
দ্বীপ আজাদ শহরের মুনজিতপুর এলাকার মইনুল ইসলামের ছেলে। আর সাইফুল ইসলাম কালীগঞ্জের সাইহাটি গ্রামের সবুর সরদারের ছেলে। বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলাম চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। কালীগঞ্জের এক ব্যক্তির ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইসহ বিভিন্ন লোককে হত্যার সঙ্গে দ্বীপ ও সাইফুল জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধারে শুক্রবার মধ্য রাতে বকচরা মোড় এলাকায় যায় পুলিশ। তাদের নিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছালে দ্বীপ ও সাইফুলকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তাদের সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে দ্বীপ ও সাইফুল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।