ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, চবির মূল ফটক অবরোধ

26

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের এক কর্মী সিএনজি অটোরিকশা চালকের মারধরের শিকার হয়েছেন। এমন অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেয় গ্রুপটির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভর্তি পরীক্ষার্থীরা।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে গেইট অবরোধ করে রাখে তারা। এর আগে বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে রেলক্রসিং এলাকায় মারধরের শিকার হন ওই ছাত্রলীগকর্মী।
মারধরের শিকার ছাত্রলীগ কর্মীর নাম সুমিত মন্ডল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। অপরদিকে নাইম আরাফাত নামের আরেকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নাইম আরাফাত জানান, গত শনিবার ভর্তি পরীক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাটিয়ারী যেতে চাইলে সুমিতের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা ভাড়া দাবি করে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক। তখন তার প্রতিবাদ করে সুমিত। আজ (রবিবার) বিকালে পাঁচটার দিকে রেল ক্রসিং এলাকার একটি দোকানে চা খাচ্ছিলেন সুমিত ও নাইম। এসময় শনিবারের ঘটনার জের ধরে ওই সিএনজি চালকসহ আরও কয়েকজন তাদের উপর হামলা করে। হামলায় সুমিত মাথাসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং আমি পালিয়ে আসতে সক্ষম হই। সুমিতকে পরে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
এ ঘটনার জেরে শাখা ছাত্রলীগের সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ করে রাখেন। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মূল ফটক খুলে দিলেও আন্দোলন চালিয়ে যায় তারা। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাশে আবস্থান নিতে দেখা গেছে। এসময় জড়িত সিএনজি চালককে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তারা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু পূর্বদেশকে বলেন, কিছুদিন পর পরেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে সিএনজি চালকরা। তারা শিক্ষার্থীদের মেরে পৈশাচিক আনন্দ পায়। জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আমরা তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভ‚ঁইয়া বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। তদন্তের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।