চোখের নীরব ঘাতক গ্লূকোমা

33

‘ বিশ্ব গ্লূকোমা সপ্তাহ – ২০২০’ উদ্যাপন করেছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। “আসুন চোখের গ্লূকোমা রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গত ১১ মার্চ বুধবার সকাল পৌনে ৯ টায় বিশ্ব গ্লূকামা’ সাপ্তাহ উপলক্ষে পাহাড়তলীস্থ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচী ও বর্ণাঢ্য র‌্যালীর উদ্বোধন করেন হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি উপমহাদেশের প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। এ সময় গ্লূকোমা চোখের নীরব ঘাতক উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, নীরবে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় বলে গ্লূকোমাকে নীরব ঘাতক বলা হয়। গ্লূকোমা রোগ সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যাঁরা চলি­শোর্ধ্ব তাদের প্রত্যেকেরই উচিত চোখের যে কোন ধরনের উপসর্গের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি বলেন, রক্তের চাপের মতো চোখেরও একটি নির্দিষ্ট চাপ থাকে। কোনো কারণে এই চাপ বৃদ্ধি পেলে চোখের অপটিক নার্ভের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং আস্তে আস্তে নার্ভটি শুকিয়ে যায়। ফলে দৃষ্টির পরিসীমা কমতে থাকে। একপর্যায়ে চোখ দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে এ রোগের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। একবার দৃষ্টিসীমা কিছুটা নষ্ট হলে সেটুকু আর ফিরেও পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে রোগী এই রোগের কোনো লক্ষণ অনুধাবন করতে পারে না। তিনি বলেন, মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ, চোখের নীরব ঘাতক গ্লূকোমার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন, আইসিও এর পরিচালক প্রফেসর ডা. খুরশীদ আলম, আইসিও এর অধ্যপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী, ডা. জেসমিন আহমেদ, ডা. মর্তুজা নুর উদ্দিন, ডা. সাজ্জাদ হোসেন খান, ডা. সামস মো. নোমান, ডা. রাজীব হোসেন, ডা. মো. ফিরোজ খান, ডা. মাহবুব আলম, ডা. ফারজানা আক্তার চৌধুরী, ডা. সুজিত কুমার বিশ্বাস, ডা. সোমা রানী রায়, ডা. তনিমা রায়, ডা. তাহমিনা আক্তার, ডা. সুইটি বড়ুয়াসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও অপটোমেট্টির শিক্ষার্থীবৃন্দ। এছাড়া সাপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচীতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা আগত রোগী ও তাদের স্বজনদের দৃষ্টিনাশী গ্লূকোমা রোগ সম্পর্কে অবগত করছেন। বিজ্ঞপ্তি