চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে পাসপোর্ট অফিসে সনদ জমা

59

পাসপোর্ট বানানের জন্য রাউজানের ১২নং উরকিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া জাতীয় সদনপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়ায় গত শনিবার রাউজান জিডি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল। এতে তিনি উল্লেখ করেন, যে ব্যক্তির নামে ভূয়া জাতীয় সনদপত্র জমা করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার সোহেল বলেন, আয়াসু রহমান, পিতা সোলেমান কাদের, মাতা জেবুনেছা, সাং সোলেমান কাদেরের বাড়ি, ওয়ার্ড নং ৩, নামের এক ব্যক্তি বাংলাদেশী পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে জাতীয় সনদপত্র প্রদান করেন। জাতীয় সনদপত্রটি সন্দেহ হওয়ায় পাসপোর্ট থেকে আমাকে ফোন করা হয়। এরপর আমি ওয়ার্ড নম্বর ও পাসপোর্ট প্রত্যাশীর নাম জেনে দ্রুততার সঙ্গে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এ ওয়ার্ডটি মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা নয়। সেটি হিন্দু, বৌদ্ধ বাসিন্দাদের গ্রাম। পরে ইউনিয়ন পরিষদে সংরক্ষিত জাতীয়তা সনদপত্র প্রদানের রেকর্ডেও দেখা যায় ওই নামের কোন ব্যক্তিকে আমার স্বাক্ষরে জাতীয়তা সনদপত্র দেয়া হয়নি। পরবর্তিতে আয়াসু রহমান নামের ব্যক্তিটির পাসপোর্ট অফিসে প্রদত্ত ওই সনদপত্র সংগ্রহ করে দেখতে পাই। এ সনদপত্রটিতে আমার যে স্বাক্ষর রয়েছে, তা আমার নয়। এটি জাল স্বাক্ষর। সনদপত্রটিও কম্পিউটারে তৈরী এবং ভূয়া। এ সনদের সঙ্গে আমার পরিষদের সনদপত্রের ফরম্যাটে রয়েছে গরমিল। নকল সনদটিতে নেই ইউনিয়ন পরিষদের স্বারক নম্বরও। তাছাড়া আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে কেউ জাতীয়তা সনদপত্র নিতে এলে তাকে ছবি, আইডি কার্ড জমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কাজেই আমার স্বাক্ষর জাল এবং আমার পরিষদের নামে জাল সনদ পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ায় বিষয়টি তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য রাউজান থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য দরখাস্ত তৈরী করেছি। সূত্র জানা যায়, আয়াসু রহমান নামের যে ব্যক্তি বাংলাদেশী পাসপোর্টের আশায় ভূয়া জাতীয়তা সনদপত্র জমা দিয়েছে, সে ব্যক্তি উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গা হতে পারে বলে ধারণা করেছে পাসপোর্ট অফিস কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কেপায়েত উল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে রাউজান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।