চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ হল সাকার মাছ

29

পূর্বদেশ ডেস্ক

পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিশকে’ এবার দেশে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করে দেশে সাকার মাছ আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, মজুদ, লালনপালন ইত্যাদিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
গেজেটে ১৯৮৫ সালের ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস’ এর বিধি সংশোধন করে নিষিদ্ধের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এর আগে সাকার ফিশ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে বিধি সংশোধনে কারও আপত্তি আছে কি না জানাতে
দুই মাস সময় দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর বিধি সংশোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মন্ত্রণালয়। খবর বিডিনিউজ’র
এরপর গত ১৫ জানুয়ারি উপ সচিব মৃণাল কান্তি দে স্বাক্ষরিত এ গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে- যেহেতু দুই মাস সময় ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনের উপর প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে সরকার রুলসের অধিকতর সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে আফ্রিকার রাক্ষুসে মাস পিরানহা বাংলাদেশে চাষ করা, পোনা উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধি, বাজারজাত করা এবং কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন ও বিপণনের ওপর।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক সাকার মাছ নিষিধের উদ্যোগের বিষয়ে নভেম্বরে বলেছিলেন, বাংলাদেশে কোনো এক সময় হয়ত অ্যাকুরিয়ামে রাখার জন্য এনেছিল। পরে ধীরে ধীরে মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে গেছে। এ মাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সাকার মাছ জলাশয়ের একেবারে তলায় থাকে ও খায়। সাধারণত ভারি ধাতুগুলো জমা হয় তলায়। সে কারণেও পরিবেশের জন্য এটা উদ্বেগজনক। সাকার মাছ নিষিদ্ধ হলে জেলা-উপজেলায় যেখানে এ মাছ পাওয়া যাবে, তা ধ্বংস করার নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।