চুয়েটে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন

24

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। সেজন্য টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকান্ডে পরিবেশগত স্থায়ীত্বের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। উন্নত দেশেও প্রাকৃতিক সম্পদের স্বল্পতা রয়েছে। তাই আমাদের সীমিত সম্পদের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষকদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি ৬ মার্চ বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পুরকৌশল অনুষদের আয়োজনে তিনদিনব্যাপী টেকসই উন্নয়নে পুরকৌশল খাতের অগ্রগতি বিষয়ক ৫ম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কনফারেন্সে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাÐের সাথে পুরকৌশলীরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জাতীয় উন্নয়নে নিয়মিতভাবে তারা অবদান রাখছেন। দেশে বর্তমানে অনেকগুলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মেগা প্রজেক্টের কাজ চলছে। সেখানে চুয়েটের পুরকৌশলীরা দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
কনফারেন্সের টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহ্মুদ ওমর ইমামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য-সচিব ও পুরকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আফতাবুর রহমান। পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল আচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএসআরএম’র সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার মো. তাজুল ইসলাম। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে ছয়টি ক্যাটাগরিতে বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
তিনদিনব্যাপী এই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ৮টি প্লেনারি লেকচারসহ সর্বমোট ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন ছিল। যেখানে Structural Environmental, Water Resources, Geotechnical, Transportation Sustainable Engineering Management সংশ্লিষ্ট গবেষণাসমূহ উপস্থাপন করা হয়। এবারের কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট ৪৯১টি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট জমা পড়ে। এরমধ্যে ৪৪৮টি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট গৃহীত হয়। পরবর্তীতে সর্বমোট ২৬৫টি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা প্রস্তাব থেকে রিভিউপূর্বক ১৯০টি প্রকাশনা কনফারেন্সে উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। কনফারেন্স আয়োজনে সার্বিক সহায়তায় ছিল রয়্যাল সিমেন্ট, বিএসআরএম এবং ইউজিসি। বিজ্ঞপ্তি