চুনতি খান ফাউন্ডেশনের ৭ম চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত

15

 

গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত সহস্রাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান এবং চুনতিতে একটি পূর্ণাঙ্গ চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ঘোষণার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো চুনতি খান ফাউন্ডেশনের ৭ম চক্ষু শিবির। মোশাররফ হোছাইন আছিমের নেতৃত্বে দীপিত ক্লাবের সার্বিক পরিচালনায় চুনতির বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক ক্লাবের একঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবক এবং চুনতি শাহমঞ্জিল পরিবারের সাজেদা সুরাত ও আব্দুলমালেক মোহাম্মদ ইবনে দিনার নাজাতের আন্তরিক সহযোগিতায় গত শনিবার মাহফিলে সিরাতুন্নবী (সঃ) কার্যালয়ে এই বৃহৎ আয়োজন সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন লায়ন্স জেলা কেবিনেট ট্রেজারার ও ইন্সটিটিউট অফ চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অফ বাংলাদেশ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভিন মাহমুদ এফসিএ।
দিনব্যাপী এ চক্ষুশিবিরে লায়ন্স ক্লাব অফ চিটাগাং পারিজাত এলিট এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ১১০০ রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে, যাদের মধ্য থেকে ১৫৯ জনকে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে গিয়ে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য তালিকাভ‚ক্ত করা হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ কল্যাণের ম্যানেজিং ডিরেক্টও মঈন চৌধুরী, লায়ন্স জেলা গভর্নর শেখ শামসুদ্দীন আহমদ সিদ্দিকি পিএমজেএফ, কেবিনেট সেক্রেটারি হাসান মাহমুদ চৌধুরী, লায়ন জাহেদ হোসেন, লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী, লায়ন স্বপন কুমার বিশ্বাস, কম্পিউটার সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামলুক সাব্বির আহমেদ এবং নাঈমুল ইসলাম চৌধুরী। খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আসাদ খানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আরম্ভ হওয়া সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আনোয়ার কামাল, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, লায়ন্স রিজিয়ন চেয়ারপারসন জাহানারা বেগম, চিটাগাং ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডাক্তার মঈনুল ইসলাম মাহমুদ এবং খান ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান মাসুদ খান এফসিএ, এফসিএমএ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, আমি অভিভ‚ত হয়েছি এত সুন্দর একটা আয়োজন দেখে। আমরা চাইলেই সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সবগুলো সমস্যার সমাধান হয়তো করতে পারিনা। কিন্ত আমরা যদি একটু চেষ্টা করি, তাহলে মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করা সম্ভব। সব শেষে স্বেচ্ছা সেবকদের সার্টিফিকেট বিতরণের মাধ্যমে দিনব্যাপী চক্ষু শিবির সমাপ্ত হয়। বিজ্ঞপ্তি