চীনে একের পর এক ক‚টনীতিকের মৃত্যু ঘিরে নানা রহস্য

18

পরদেশ ডেস্ক

চীনে একের পর এক বিদেশি ক‚টনীতিকের মৃত্যু ঘিরে নানা ধরনের রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মৃত্যুর খবর জানালেও ঠিক কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। গত এক বছরে দেশটিতে চারটি দেশের রাষ্ট্রদূত মারা গেছেন। সর্বশেষ গত সপ্তাহে মারা গেছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মাইও থান্ট পে। হংকং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত দুই দশকে চীনের বিদেশি দূতাবাসগুলোতে অন্তত ১৩ জন ক‚টনীতিকের মৃত্যু ঘটেছে। এ নিয়ে দেশটিতে নিযুক্ত ক‚টনীতিকদের মধ্যে আতংকের পাশাপাশি রহস্য দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মাইও থান্টকে সর্বশেষ গত শনিবার চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনানে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে ব্রিফ করা হয়েছে এমন তিনজন ক‚টনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ইউনান ভ্রমণের সময় মাইও থান্ট মারা যান। ক‚টনীতিকেরা ও মিয়ানমারের একটি সংবাদমাধ্যম বলেছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।
২০১৯ সালে চীনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পান মাইও থান্ট।
২০২১ সালের ফেব্রæয়ারিতে অভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পরও তিনি এই পদে বহাল থাকেন। গত এক বছরে চীনে নিযুক্ত আরও তিন রাষ্ট্রদূত মারা যান। সেপ্টেম্বরে মারা যান জার্মান রাষ্ট্রদূত জ্যান হেকার (৫৪)। বেইজিংয়ে পদায়নের দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি মারা যান। ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সেরহি কামিশেভ (৬৫) গত ফেব্রæয়ারিতে মারা যান। বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের ভ্যেনু পরিদর্শনের সময় কিংবা এর অল্প কিছুক্ষণ পরে তিনি মারা যান। এপ্রিলে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আনহুইতে কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় মারা যান ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত জোসে সান্তিয়াগো (৭৪)। চীনে বিদেশি ক‚টনীতিকের মৃত্যুর ঘটনা প্রথম ঘটেছিল ২০০০ সালে। এর পর থেকে গত ২২ বছরে প্রায় ১৩ জন ক‚টনীতিকের মৃত্য হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হংকং পোস্ট।