চীনে উঠছে লকডাউন, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রস্তুতি বেইজিংয়ে

17

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষ সুপারমার্কেট, বিভিন্ন দপ্তর ও বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোভিড শনাক্তকরণ পরীক্ষার ‘নেগেটিভ’ ফল দেখানোর বিধান তুলে নিয়েছে। গত মাসের ঐতিহাসিক বিক্ষোভের পর চীন যে দেশজুড়ে ধীরে ধীরে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিলে পথে হাঁটছে মঙ্গলবার কার্যকর হওয়া এ সিদ্ধান্তকে তার সর্বশেষ নজির বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“বেইজিং স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে,” রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্র চায়না ডেইলির এক শিরোনামে এমনটাই লেখা হয়েছে; লোকজন ‘ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনকে’ উৎসাহের সঙ্গে মেনে নিচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। গত মাসে দেখা দেওয়া সবচেয়ে বড় জনঅসন্তোষের পর চীনের কর্তৃপক্ষ সামনে বিধিনিষেধ আরও শিথিল করতে যাচ্ছে বলেও আভাস পাওয়া গেছে। ২০১২ সালে শি জিনপিং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এক দশকে দেশটির মূল ভূখন্ডে এমন বিক্ষোভ আর দেখা যায়নি।
“পুনরায় সব খুলে দেওয়ার পথে এটি প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে,” নিজের ভ্রমণ কার্ড ব্যবহার করে বেইজিংয়ের একটি ট্রেন স্টেশনে ঢোকার সময় রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন নগরীটির বাসিন্দা হু ডংজু (২৭)। শহরটির সাবওয়েতে চলাচলেও কোভিড পরীক্ষার ফল দেখানোর শর্ত তুলে নেওয়া হয়েছে। বেইজিংয়ের দুটি বিমানবন্দরের টার্মিনালে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এখন আর পরীক্ষার দরকার পড়ছে না বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে বিমানের ওঠার আগে যাত্রীদের পরীক্ষার নেগেটিভ ফল দেখানোর নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়েছে কিনা তার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা করোনাভাইরাসজনিত কঠোরতা নিয়ে সুর নরম করার পর থেকে চীনের বিভিন্ন শহরের কর্তৃপক্ষকে একটার পর একটা বিধিনিষেধ তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশই বছরখানেকেরও বেশি সময় ধরে বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে ভাইরাসকে সঙ্গী করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে; চীনও এখন ধীরে ধীরে সে পথে হাঁটছে। চীন সম্ভবত বুধবারের মধ্যেই দেশজুড়ে থাকা আরও ১০টি বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা দেবে বলে বিষয়টি সম্বন্ধে জ্ঞাত দুটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে। দেশটির বিভিন্ন শহর এর মধ্যেই স্থানীয়ভাবে থাকা লকডাউনগুলো তুলে নিচ্ছে।