চীনা অনুপ্রবেশের পর আন্তর্জাতিক সমর্থন চায় তাইওয়ান

5

তাইওয়ান আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমমনা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চায় বলে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তাদেরকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সাই-ইং ওয়েন। চীনের যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে (এআইডিজেড) অনুপ্রবেশের পর আন্তর্জাতিক সমর্থন চাইছে দ্বীপদেশটি। তাইওয়ান আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমমনা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চায় বলে বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সাই-ইং ওয়েন।
গত শুক্রবার থেকে টানা চারদিন চীনের বিমান বাহিনীর রেকর্ডসংখ্যক যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে অনুপ্রবেশ করেছে। এরপর ফ্রান্সের চার সিনেটর এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট তাইওয়ান সফরে যান। চীনের সা¤প্রতিক এই শক্তি প্রদর্শনে উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন ও এর মিত্রদেশগুলো। চীনের ক্রমাগত সামরিক-রাজনৈতিক চাপের মুখে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছ থেকে সমর্থন প্রত্যাশা করছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশগুলোর কাছ থেকে।
তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখÐ থেকে বিচ্ছিন্ন একটি প্রদেশ বলে মনে করে চীন। অন্যদিকে, তাইওয়ান দাবি করে তারা স্বাধীন, সার্বভৌম। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ‘অনিবার্য’ বলে মনে করেন এবং এ লক্ষ্যে তিনি দ্বীপটিকে নানা দিক থেকেই চাপে রাখছেন।
তাইওয়ানে সফরে যাওয়া ফ্রান্সের সিনেটরদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে কথা বলেন তাইওয়ানি প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তাইওয়ান প্রণালিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য ফ্রান্সকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সাই বলেন, “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সদস্য হিসাবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পূরণ করে যাব। ফ্রান্সের পাশাপাশি আমরা বিশ্বে আরও অবদান রাখব বলেও আশা করছি।” তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোটকেও একই ধরনের বার্তা দেন। অ্যাবোটও আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবেন। তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক সুরক্ষা এবং কোভিড-১৯ সামাল দেওয়া নিয়েও তিনি প্রশংসা করেন। অ্যাবোট বলেন, “তাইওয়ানের অগ্রগতিতে অবশ্যই সবখানে সবাই সন্তুষ্ট নয়। আর আমি দেখতে পাচ্ছি যে, তাইওয়ান প্রায় প্রতিদিনই তার পাশের দানবীয় প্রতিবেশীর কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।”