চীনাদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করলো হংকং

17

করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে হংকং। এর আওতায় চীনের মূল ভূ-খন্ড থেকে আগত যেকোনও ব্যক্তিকে দুই সপ্তাহ কোয়ারিন্টাইনে রাখা হবে। পর্যটকদের তাদের হোটেল কক্ষে নিজেদের আবদ্ধ করে রাখতে হবে অথবা সরকার পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে যেতে হবে। আর চীন থেকে ফেরা হংকংয়ের বাসিন্দাদের এই সময়ের মধ্যে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এই নিয়ম লঙ্ঘন করবেন তাদের জেল ও জরিমানার শাস্তির মুখে পড়তে হবে। হংকংয়ে এখন পর্যন্ত ২৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
চীনের আধা-স্বায়ত্তশাসিত এলাকাটি জানায়, মূল ভূ-খন্ড থেকে আগত যে কারও জন্য কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মূলত রোগটির প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর উদ্দেশ্যে। প্রতিদিন লাখো মানুষ চীন থেকে হংকংয়ে ভ্রমণ করে। যদিও স¤প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে হংকং নিজেদের বেশ কিছু সীমান্ত পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পর এই সংখ্যা কিছুটা কমেছে। চলতি সপ্তাহে সম্পূর্ণভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে ধর্মঘট করেছেন হাজার হাজার চিকিৎসাকর্মী। হংকং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার চীনের মূল ভূ-খÐ থেকে ১১ হাজার পর্যটক প্রবেশ করেছে। একদিন আগে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৭২৬ জন জন।
এদিকে জাপানের উপকূলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা একটি প্রমোদ তরীর ৪১ জনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত আরোহীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১ জনে। শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) জানায়, চীনে গত দুই দিন ধরে সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা কম নজরে এসেছে।
তবে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম ঘেব্রেয়েসাস এমন সংখ্যার প্রতি খুব বেশি মনোযোগী না হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, এই প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী সুরক্ষাজনিত চিকিৎসা সরঞ্জাম, যেমন গাউন, মাস্ক ও গ্লাভসের সংকট দেখা দিয়েছে। আডানম বলেন, ‘যখন জোগান কম এবং চাহিদা বেশি থাকে, তখন সেগুলো চড়া দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদের প্রবণতা তৈরি হয়’। ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান তারা যেন মুনাফার প্রতি নজর না দিয়ে ‘মানবতার সুরক্ষাকে সমুন্নত রাখেন’।