চিত্তে সন্তুষ্টি আর হাতে ফুল নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩০ করদাতা

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

গৃহকরের আপিল বোর্ডে সবাইকে নিয়ে বসেছেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। নিজেদের দাবি নিয়ে একে একে হাজির হন করদাতারা। আসামাত্রই হাতে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হচ্ছে। ফুলেল বরণের আবেশ কাটতে না কাটতেই মেয়রের প্রশ্ন, আপনি কত টাকা দিতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কেউ বলেছেন এক হাজার বাড়াতে আবার কেউ কেউ একশ থেকে পাঁচশ টাকা বাড়ানোর কথা বলেন। এমনকি অনেকে আগের নির্ধারিত গৃহকরই রাখার দাবি করেন। এসব দাবিতে ছিল মেয়রের হাস্যোজ্জ্বল সম্মতি। যে যেভাবে চাচ্ছেন তাকে সেভাবে গৃহকর পুনর্নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। এতে খুশি হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩০ করদাতা। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৪, ২৫, ২৬, ২৭ এবং ৩৬ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সার্কেল-৭ এর গণশুনানিতে এমন চিত্রের দেখা মিলে।
শুনানি শেষে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে চসিক হোল্ডিং ট্যাক্স নেয় এবং সেই ট্যাক্সের টাকা নগর উন্নয়নে ব্যয় করে। হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে একধরনের বিভ্রান্তি কাজ করছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিগুলো এ সুযোগে গুজব ছড়াচ্ছে। নাগরিকদের বলতে চাই আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে শুনানি করে কারো হোল্ডিং ট্যাক্স বেশি হলে তা সহনীয় করে দিচ্ছি। চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে আমি আপনাদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছি। কেবল ট্যাক্স ইস্যু নয়, যে কোনো সমস্যায় আমাকে ডাকুন। আমি আপনাদের পাশে আছি।
নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস ওয়ার্ডস্থ একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত শুনানিতে নাগরিকরা তাদের হোল্ডিং ট্যাক্সসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিয়ে চসিক মেয়রের কাছে অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন। উল্লেখ্য গতকাল গণশুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য ২৬০টি নোটিশ জারি করা হয়। এর মধ্যে ২৩০টির চূড়ান্ত আপিল নিষ্পত্তি হয়।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন-প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, লায়ন মোহাম্মদ ইলিয়াস, জাফরুল হায়দার সবুজ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি, জাহেদা বেগম পপি, চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।