চিটাগাং চেম্বারে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

13

 

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লী জাং কেউন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে ১৭ অক্টোবর সকালে চিটাগাং চেম্বারের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মোস্তফা কামাল, চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, দৈনিক আজাদী’র সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণ’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন ও সাজির আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হার্বার এন্ড মেরিন) কমোডর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কোরিয়া ট্রেড সেন্টার’র ডাইরেক্টর জেনারেল কিম ডং হাইঅন, চট্টগ্রাম কোরিয়ান কমিউনিটির সভাপতি জিন হিউক পাইক, কোরিয়ান ইপিজেড প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর সাদত, চেম্বারের প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র পরিচালক শারমিন আক্তার, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস’র যুগ্ম কমিশনার তোফায়েল আহমদ, বিএসআরএম গ্রæপ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলী হুসেইন, উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক ডা. মুনাল মাহবুব এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা বক্তব্য দেন। অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), হাসনাত মো. আবু ওবাইদা, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এস এম তাহসিন জোনায়েদ, তানভীর মোস্তফা চৌধুরী ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), কোরিয়ান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারী লী জংগিউল, কঙওঈঅ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়ং আ দো, কোরিয়ান কমিউনিটি ইন বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান ইয়ংগো ইউ, ফিলিপাইনস্’র অনারারী কনস্যুল জেনারেল এম এ আউয়াল, চট্টগ্রামস্থ দক্ষিণ আফ্রিকার অনারারী কনসাল সোলায়মান শেঠ, ইয়ংওয়ান গ্রুপ, বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ শাহীনুর রহমানসহ চট্টগ্রাম ইপিজেড-এ বিভিন্ন কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালকবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লী জাং কেউন বলেন, বাংলাদেশি প্রায় ৯৫% পণ্য কোরিয়ান বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ-কোরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম ওডিএ গ্রহণকারী দেশ। তবে আগামী দিনগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতারভিত্তিতে উভয়দেশ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিকভাবে আরো সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারে।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী দেশ যার পরিমাণ প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার। কোরিয়াতে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩৫০ মিলিয়নের কম। পক্ষান্তরে, কোরিয়া থেকে আমদানি প্রায় এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কাজেই এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। কোরিয়া প্রায় ১২-১৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে থাকে। যেখানে বাংলাদেশ থেকে কোরিয়াতে রপ্তানি হয় মাত্র ৩০০ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। কাজেই আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে রুলস অব অরিজিন সহজীকরণ, প্রধান আমদানিকারকদের সাথে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের যোগাযোগ স্থাপন এবং যৌথ উদ্যোগে আরএমজি ও টেক্সটাইল খাতে কারখানা স্থাপন করে কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ দরকার। বিজ্ঞপ্তি