চিকিৎসকগণ মানবিক হউন

103

মীর আব্দুল আলীম

সেবার শপথ নিয়েই চিকিৎসকদের চিকিৎসা পেশায় প্রবেশ করতে হয়। এ পেশাটি রাষ্ট্রের অন্যান্য পেশার তুলনায় অনেক বেশি সম্মানের। এটা পেশা হলেও, চিকিৎসকরা মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করেন বলে এটি মানবসেবার একটি অংশও বটে। কিন্তু আজকাল এ পেশার মানুষ কেমন যেন আচরণ করতে শুরু করেছেন। কখনো রাজনৈতিক, কখনোবা অমানবিক আচরণও পরিলক্ষিত হয়। আমরা দেখেছি, রোগীকে জিম্মি করে হরহামেশাই কাজে যান না; ধর্মঘটেও যান চিকিৎসকরা। এজন্য অনেক রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাবার ঘটনাও ঘটেছে এ দেশে। বোধ করি বাংলাদেশে ছাড়া এমন নজির আর কোথাও নেই। করোনা ভাইরাস এমন সংকটের মধ্যেও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকরা যাচ্ছেন না, চেম্বার করছেন না এমন অভিযোগ ডাক্তাদের বিরুদ্ধে। যা অমানুবিক বটে! জীবনের নিরাপত্তাসহ পিপিই না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে চিকিৎসকরা সাধারণ রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা কোন চিকিৎসক আচরণ হতে পারে না। হাসপাতালগুলোতে অসংখ্য রোগী আসছেন, ডাক্তার না পেয়ে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।বড় অসহায় রোগী এবং রোগীর পরিবার।
অসহায় রোগীদের আরও অসহায় করা; হতাশ করে দেয়া; মানবসেবার ধর্ম হতে পারেনা? কসাই আর ডাক্তার দ’ুটোই যেন এক জাতীয় প্রফেসন না হয়। এমন দুঃসময়ে এদেশে নচিকেতার গানের চিকিৎসক যেন কেউ না হন। বিখ্যাত এ গায়ক তার গানে কসাইয়ের সঙ্গে ডাক্তারদের গুলিয়ে ফেললেন কেন? এখন তা হাড়ে হাড়ে টেরপাচ্ছে দেশের মানুষ। প্লিজ চিকিৎসক সমাজ আপনারা আরও মানবিক হউন। রোগীদের জন্য সদয় হউন। করোনার এ পর্বে এসে চিকিৎসকগণ (সবাই নন) কসাইয়ের (নিষ্ঠুর) ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। জীবনের ভয়ে রোগী দেখলে পালিয়ে থাকেন; রোগী দেখা ছেড়ে দিয়েছেন। এটা আপনাদের প্রফেসনের ধর্ম নয়। প্রশ্ন আসে স্বাভাবিকভাবেই, মানুষের জীবন নিয়ে এমন আচরণ হয়কি করে? এটি কিছুতেই আইনসিদ্ধও নয়। এটা মোটেও মানবিক নয়।
চিকিৎসকের সেবার সঙ্গে মানুষের জীবন রক্ষার বিষয়টি জড়িত। জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনোই অধিকার নেই কারও। চিকিৎসকদের মাঝে নীতিনিষ্ঠা, মানবিকতা, সদাচার, কর্তব্যপারায়ণতা- এসব গুণের বেশি পুজারি হওয়ার কথা। এদেশের অনেক চিকিৎসক এমনটাই। এই আপনারাইতো ডেঙ্গু সমস্যায় গতবছর (২০১৯) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতদিন কাজ করে শতশত মানুষের জীবন রক্ষা করে কতনা বাহবা পেয়েছিলেন। এ জন্য অবশ্য আপনাদের ক’জন ডাক্তারকে জীবনও দিতে হয়েছে। চিকিৎসা পেশাটাতো এমনই। জীবনযুদ্ধেও মাঠে আপনারা। লাখো মানুষের জন্য দু’একজনকেতো জীবন উৎসর্গ করতেই হবে। আর আপনাদের মানসিকতা এমন হওয়াই উচিৎ। প্লিজ আপনারা স্বরূপে ফিরে যান; রোগীদের প্রতি মানবিক আচরণ করুন। প্লিজ চেম্বারে ফিরে যান। প্লিজ রোগীদের চিকিৎসা দিন।
রোগীদের অসহায় করে চিকিৎসকরা কিছুতেই ঘরে বসে থাকতে পারেন না। এর আগে বহুবার চিকিৎসকরা রোগীদের জিম্মি করে দাবিও আদায় করেছেন। স্বাস্থ্যসেবার স্বার্থে ডাক্তারদের যে কোনো পরিস্থিতিতে যে কোন জায়গায় কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। এটাও সত্য ডাক্তারদেরকের কর্তব্য পালনকালীন সময়ে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।এটা সরকারের দ্বায়িত্ব বটে! এ দ্বায়িত্ব পালনে কিছুটা অবহেলা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। তাই করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা কিছুটা বিব্রত হয়েছেন। তাঁদের কাছে যথাসময়ে পর্যাপ্ত পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পৌঁছেনি। ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের চিকিৎসা দিতে হয়েছে এমনকি এখনও হচ্ছে। যা কিনা নিজেদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আতংক তৈরি করেছে। অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট চলছে। সাধারণ রোগেরও চিকিৎসা পাচ্ছেনা মানুষ। এটা ভয়ংকর কথা। প্রটেকশন তৈরি হচ্ছে এখনও কেন ডাক্তারগণ বসে থাকবেন তা বোধগম্য নয়। চিকিৎসকরাও কিন্তু মানুষ। চিকিৎসকদের আয়রোজগার কম নয়। দেশের মানুষ যেখানে অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে মাঠে নেমেছে সেখানে ডাক্তারদেরওতো কিছু দায়বদ্ধতা থাকে। অসহায় রোগীদের জন্য হাজার টাকা খরচ করে পার্সোনাল প্রটেকশন তৈরি করতে পারতেন। মানুষ দানখয়রাতওতো করে। ডাক্তাররা তা করতে পারতেন। তা না করে পার্সোনাল প্রটেকশনের অজুহাতে তাঁরা রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা কিভাবে সম্ভব।
জার, কাশি, ঠাÐার রোগীদের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো যায় কিন্তু বাকিদের চিকিৎসাতো তাঁরা করবেন? তাও করছেন না অনেক চিকিৎসক। হাত-পা গুঁটিয়ে বাড়িতে অলস সময় কাটাচ্ছেন অনেকে। হাসপাতালে এলেও অনেকে আবার গাঁছাড়া ভাব দেখাচ্ছেন। চিকিৎসকরা কি এটা করতে পারেন? অন্তঃসত্বা, গাইনী, শিশুসহ সাধারণ রোগের চিকিৎসা করতে তাদের দোস কোথায়। প্রটেকশন নিয়ে সব দেশের চিকিৎসকরাই রোগীদের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশই তাঁর ব্যতিক্রম।
গত বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ডাক্তারগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীর সেবায় নিবেদিত হন। এজন্য অনেকের প্রাণও গেছে। তাতেও ডাক্তাররা সেবাদিতে পিছপা হননি। তাঁদের আন্তরিকতা এবং সেবায় অনেকে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছেন। এ বিষয়টিতে আমাদের দেশের ডাক্তারগণ তখন যথেষ্ট বাহবা পেয়েছিলেন। সত্যিই আমাদের ডাক্তারগণ যে মানবিক মানুষ তা তারা সে সময় প্রমাণ দিয়েছেন। এবারের করোনা ক্রাইসিসে ডাক্তারদের অমানবিক আচরণ তাদের সকল সুনাম ধুলায় ভুলূন্ঠিত করছে বৈকি।
চিকিৎসকদের একটু দরদি স্পর্শ, একটু সহানুভূতি, একটু হাসিমাখা মুখের কথায় জটিল ও কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও আশাবাদী করে তোলে, রোগযন্ত্রণা ভুলিয়ে দেয়। আর তার উল্টোটা হয় চিকিৎসাবঞ্চিত হলে। রোগীরা চিকিৎসা নিতে এসে চিকিৎসক আর কাক্সিক্ষত চিকিৎসা না পেলে রোগী এবং তার পরিবারের জন্য যে তা কতটা যন্ত্রণার তা কি আমাদের চিকিৎসকরা ভাবেন? চিকিৎসকদের বিশ্বস্থ বন্ধুর মতো রোগীর পাশে দাঁড়াতে হবে। শুধু চিকিৎসা প্রদান নয়, মুখের একটু কথাতেও অনেক সময় রোগী সুস্থবোধ করেন। রোগীরাতো এখন করোনা ক্রাইসিসের সময় ডাক্তারের দেখাই পাচ্ছেন না। আর তা রোগী, রোগীর পরিবার তথা দেশবাসীকে কতটা অসহায় করছে তা বলাবাহুল্য। আমাদের ডাক্তারগণ দেশের মানুষের অসহায়ত্বের কথা উপলব্ধি করছেন কি?
করোনাভাইরাস মহামারী রূপ নিয়েছে। এ রোগ দুিনয়াজুড়ে। রোগের জন্য, রোগীর জন্য চাই ডাক্তার। ডাক্তার না থাকলে রোগীরাতো বড় অসহায়। ডাক্তার না থাকলে কারা চিকিৎসা দিবেন রোগীদের? ডাক্তার সংকট কেন হলো? করোনা আতংকের মধ্যে শুরুতেই ডাক্তারদের সুরক্ষা সরঞ্জাম দেয়া হয়নি। এটা কিন্তু বড় সত্য। রোগীর অনুপাতে ডাক্তারদের মধ্যে আক্রান্তের পরিমাণ বেশি হওয়ায় চিকিৎসকদের মধ্যে আতংক তৈরি হয়েছে এটাও সত্য। হওয়ারই কথা। রোগ সারাতে গিয়ে ডাক্তার যদি রোগী হয়ে যান তাহলে কি চলবে? ডাক্তারগণ দলেদলে অসুস্থ রোগীরা সেবা কার কাছ থেকে নেবেন? এ জন্য ডাক্তারদের ঝুঁকি কমিয়ে এনে তাঁদের কাজে নামানো দরকার ছিলো।
এটাও সত্য যে, ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকবে। পরিমাণে তা বেশি হলে আতংকেরই কথা। প্রশাসনের হাতে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুয়িপমেন্ট (পিপিই) চলে এসেছে আগে। এমন অভিযোগ শুরু থেকে চিকিৎসকগণ করে আসছেন। এটা নিয়ে যথেষ্ট ভুলঝাবুঝিও হয়েছে। অবশ্য প্রশাসন ক্যাডার আর ডাক্তারদের মধ্যে অঘোষিত দ্ব›দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে সইতে না পারার বিষয়টি আমরা বহু দিন ধরেই দেখছি। ডাক্তারগণ যখন পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পাননি তখন প্রশাসন, ব্যাংকার, ব্যবসায়ীরা পিপিই পরে ফটোসেশন করেছেন। ফেসবুকে তা সবাই দেখেছে। এটা নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এক কথা সত্য যে চলতি করোনা সংকটে দেশে প্রশাসনের লোকদের ভূমিকা অত্যন্ত খুশী হওয়ার মতো। প্রসাশনের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদেরন পিপিইও দরকার ছিলো। তবে যে ডাক্তারগণ রোগীদের চিকিৎসা দেবেন তাঁরা তখন পিপি পাননি এটা হতে পারে না। যারা রোগীদের চিকিৎসা দেবেন তাঁরা অনিরাপদ থাকবেন, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকবেন তা কি করে হয়? ভুল বোঝাবুঝিতো হবেই তাতে। যে ডাক্তার রোগীর চিকিৎসা দিবেন তাঁদেরই পিপিইর অভাব। কষ্টেরই কথা। এ অবস্থায় ক’জন ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আতংক তৈরি হয়েছে ডাক্তার সমাজে। এটা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হলো আমাদের জন্য। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে ডাক্তারগণ কাজ করবেন তাঁরা সরঞ্জামের অভাবে আক্রান্ত হলে প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। কথা আরও আছে। ডাক্তাররা কত্যব্য পালন করতে যাওয়ার পথে রাস্তায় পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে দু/একটি। ডাক্তারগণ কর্মস্থলে যেতে আসতে বাধার সম্মুক্ষিন হলে, অসম্মানীত হলে তারা সাচ্ছন্দে কাজ করবেন কি করে?
কথা কিন্তু আরও আছে। এসব বিচ্ছিণ কিছু ঘটনা। ডাক্তারগণও কিন্তু এ সমাজেরই মানুষ। ভুলের কারণে তাঁরা হাত পাগুটিয়ে ঘরে বসে থাকবেন আর রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে কাৎড়াবে এটা হয়না। এটা ডাক্তার পেশার সাথে যায়না। এটা অমানবিক। গড় হিসাবে একজন ডাক্তারের রোজগার কম নয়। এ রোজগার কিন্তু রোগী থেকেই আসে। তাঁরা জীবনটা বদলে যে সুন্দর জীবন পেলেন তা রোগীদেও বধৌলতেই। কি করে তারা রোগীদেও সমস্যার কথা ভুলে গেলেন? এানুষ এখন যুদ্ধেও মান। রাজনৈতিক, ছাত্র শিক্ষক, শিল্পপতি, সাংবাদিক সবাই কাজ করছেন যে যার যায়গা থেকে। অসহায় মানুষের জন্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ক্ষুধার্থদের মুখে খাবার দিতে অনেক মানবিক মানুষ মাঠে রয়েছেন। ডাক্তারি পেশা এক মানবিক পেশা হিসেবেইতো আমরা জানি। কিছু প্রটেকশন ডাক্তারগণ নিজে থেকেই নিতে পারতেন। সে সঙ্গতিবোধ করি অনেক ডাক্তারেরই আছে। কিন্তু উদরপিন্ডি বোধর ঘাড়ে চাপিয়ে ঘরে বসে আছেন যারা তাঁরা কতটা মানবিক সেটা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। বুঝি আমরা, অনেকে জীবনের ভয় অনেক বেশি করছেন। অনেক পেশা আছে জীবনে ভয় কম করতে হয়। এরমধ্যে আছে মহান পেশা চিকিৎসা আর সাংবাদিকতা। দুঃসময়ে চিকিৎসকরা ঘরে বসে থাকলে কি করে চলবে। মহামারীতো তাঁদেরই যুদ্ধ। যুদ্ধে নেমে মহামারীকে জয় করতে হবে তাঁদেরকেই। মানুষকে আতংকিত করা, মানুষের জীবন বিপন্ন করা কতটা সঠিক হচ্ছে প্লিজ আমাদের প্রিয় ডাক্তারগণ জবাব দেবেন। আমার ছেলে এবং মেয়ে ডাক্তার। আমার পরিবারে অনেক ডাক্তার আছেন। তবুও লিখতে বাধ্য হচ্ছি এসব। এটা লিখার দায় তৈরি হয়েছে। এই মাত্র যখন লিখছি ডাক্তার ছেলে এবং মেয়ে বিদায় নিতে আসলো। তাঁরা করোনা বিষয়ে ডঐঙএর ট্রেনিংয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তাঁরা সরকারের ৩৩৩ তে রোগীদের দিনরাত চিকিৎসা দিচ্ছেন। এমনকি তাঁদের পরিচালনাধীন হাসপাতালটি খোলা রেখে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি মনে করি এমন দুঃসময়ে সকল ডাক্তারদের আরও মানবিক হওয়া উচিৎ।
মনে রাখবেন চিকিৎসকদের প্রতি মানুষ অনেক দুর্বল। অসহায় মুহূর্তেই আপনাদের কাছে মানুষ ছুটে যায়। আপনাদের কাছ থেকে কোনো অশোভন বা সেবাবহির্ভূত আচরণ জনগণ প্রত্যাশা করে না। সমাজে চিকিৎসকরা একটি শিক্ষিত ও সম্মানিত পেশাজীবী মহল। তাদের অমানবিকতা অথবা উদাসীনতার কারণে হারিয়ে যেতে পারে অনেক প্রাণ। চিকিৎসা পেশা একটি মহৎ পেশা, চিকিৎসকদের এটা বিবেচনায় রাখতে হবে। তাঁদের প্রথম কাজই হচ্ছে রোগীর সেবা দেয়া। মনে রাখতে হবে, চিকিৎসকদের এক মিনিটের কর্মবিরতিতে কারো জীবনহানি ঘটতে পারে। এ ধরনের আচরণ আমারা আপনাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না।
বর্তমানে করোনা সংকটে ডাক্তার এবং রোগীদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ডাক্তার এবং রোগীর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান রাখা দরকার। চিকিৎসকগণই তা করবেন। রোগী-ডাক্তার সম্পর্ক অটুট থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক