চার ‘শহুরে’ শিক্ষককে গ্রামে বদলি

118

গত ২০ জুন দৈনিক পূর্বদেশে ‘সরকারি কলেজে পদায়নে বৈষম্য/গ্রামে শিক্ষক সংকট শহরে অতিরিক্ত’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদে শহরের কলেজগুলোতে অতিরিক্ত শিক্ষক থাকার নেপথ্যে অতিরিক্ত কোচিং বাণিজ্যের অনুসন্ধানী চিত্র তুলে ধরা হয়। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয় বলে জানা গেছে। তার পরেই গত ৪ জুলাই চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের চার শিক্ষককে গ্রামের কলেজে শূণ্যপদে বদলি করা হয়।
গত ৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি কলেজ-১ অধিশাখার জারিকৃত এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের পদার্থবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক মো. সালাহ উদ্দিন আফছার ও উদ্ভিদবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক সাহাব উদ্দিনকে স›দ্বীপের সরকারি হাজী এবি কলেজে একই পদে বদলি করা হয়। একই আদেশে ওই কলেজের রসায়নের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীনকে ফেনীর ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজে ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি কলেজে বদলি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই বদলি আদেশ দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে শিক্ষবিদ ও কলামিস্ট ফজলুল হক বলেন, আমি খবরটি পড়েছি। সেখানে বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে কোনো ধরনের ‘কম্প্রোমাইজ’ করা হয়নি। তাছাড়া আরও জেনেছি, চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের খবরটি দৃষ্টিগোচর হয়েছিল। নিষ্ঠার সাথে প্রকাশিত সত্য খবরের প্রতি সরকার যে আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল, তারই প্রমাণ এই বদলি। এই চারজনকে দিয়ে সরকারের যাত্রা। আশা করছি, নীতিমালা মেনেই শিক্ষকদের বদলি হবে। কেউ সারাজীবন শহরে থাকবে, আর কেউ গ্রামে পড়ে থাকবে আবার শহরে অতিরিক্ত ও গ্রামে শূণ্য- এমন যেন না হয়। তিনি আরও বলেন, শুধু পদায়নের বৈষম্য নয়। শিক্ষাবোর্ডে প্রেষণে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের তিনবছর পরেই যেন কলেজে ফেরত দেওয়া হয়। বছরের পর বছর শিক্ষাবোর্ডে থেকে যাওয়ার প্রবণতা কখনও শুভকর নয়। এর পেছনে কাজ করে অনিয়মের জন্ম দেওয়া সিন্ডিকেট। এদের কাছ থেকে শিক্ষাখাতকে রক্ষা করা না গেলে কখনও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন এই শিক্ষাবিদ।