চার দিন পর মৃত্যু একশ’র নিচে ৯১, শনাক্ত ৪৫৫৯

9

চার দিন পর দেশে করোনা ভাইরাসে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ এর নিচে নেমেছে। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৮৮ জনে পৌঁছালো। এর আগে শুক্র ও শনিবার ১০১ জন করে, রোববার ১০২ জন এবং সোমবার ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৩১ মার্চ ৫২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে দৈনিক মৃত্যু কখনই ৫০ এর নিচে নামেনি। মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ হাজার ৫৫৯ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ জনে দাঁড়াল।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ছয় হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। খবর বিডিনিউজের।
গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ছয় হাজার ৮১১ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৮ হাজার ১১১ জন।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা ছয় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৯ মার্চ। এর ঠিক ১৬ দিন পর ১৪ এপ্রিল সাত লাখ ছাড়ায় মোট শনাক্ত।প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৩১ মার্চ তা নয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর মাত্র ১৫ দিনে আরও এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ কোটি ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৬৫টি ল্যাবে ২৭ হাজার ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ২১ হাজার ২৭৫টি নমুনা।২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ১৩০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৩ লাখ ৪২ হাজার ১৪৫টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ আর নারী ৩৩ জন। তাদের ৫২ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে, দুজন বাড়িতে এবং একজন হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ৫৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৬০ জন ঢাকা বিভাগের, ১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের, চারজন বরিশাল বিভাগের এবং দুইজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১০ হাজার ৫৮৮ জনের মধ্যে সাত হাজার ৮২৭ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৭৬১ জন নারী।