নিজস্ব প্রতিবেদক
কারাবন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার চার্জগঠন তৃতীয়বারের মত পিছিয়েছে। গত মঙ্গলবার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে চার্জগঠনের তারিখ ধার্য ছিল। চার্জ গঠন না হওয়ায় পুলিশের অসহযোগিতাকেই দুষলেন দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, তার স্ত্রী রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের চেয়ারম্যান জামিলা নাজনিন মাওলা ও ছোটভাই প্রতিষ্ঠানের এমডি আমজাদ হোসেন চৌধুরী, পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন, এবি ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি (হেড অব ক্রেডিট) ও সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অডিট) বদরুল হক খান ও এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১।
তৎকালীন দুদকের উপ পরিচালক মানিক লাল বাদী ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরস্পর যোগসাজশে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে এবি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩টি ঋণের বিপরীতে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়। তাই তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, কারাবন্দি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় তৃতীয়বার চার্জগঠন পিছিয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ আসামির সঙ্গে মিলে অসহযোগিতা করছে। আদালতের ধার্য করা গত তিনটি তারিখে পুলিশ বিশেষ প্রটোকল না দেওয়াতে জেল কর্তৃপক্ষ আসলাম চৌধুরীকে আদালতে আনতে পারছেন না। পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে আসামির সঙ্গে মিলে এই কাজটি করছে। আদালত পুলিশের প্রতি কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন, আগামী ধার্য তারিখে অবশ্যই যেন হাজির করা হয় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে।
