চারুকলার ভবন ঝুঁকিপূর্ণ নয়

20

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের অভ্যন্তরে ভবনসমূহ ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে ভবনসমূহের ঝুঁকিপূর্ণতা ও ব্যবহারের উপযোগিতা যাচাই এবং প্রতিকারে গঠিত কমিটি। তবে কিছু কিছু স্থানে পলেস্তারা ও বিমে যে ফাটল পরিলক্ষিত হয়েছে তা মেরামতযোগ্য। গতকাল বুধবার এসব বিষয় নিশ্চিত করেন উক্ত কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল।
তিনি বলেন, চারুকলার ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। পুরাতন হওয়ার কারণে শ্যাওলা জমেছে। ছাদে অধিক পরিমাণে গাছের পাতা পড়ায় স্যাঁতস্যাঁতে হয়েছে। আর দুয়েক জায়গায় হালকা ফাটল ধরেছে। এগুলো মেরামতের কাজ চলছে।
জানা গেছে, চারুকলা ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরের ভবনসমূহের ঝুঁকিপূর্ণতা ও ব্যবহারের উপযোগিতা যাচাইয়ে গঠিত কমিটি গত ৪ ফেব্রæয়ারি ভবনসমূহ পরিদর্শন করেন। ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। পর্যবেক্ষণ শেষে গত ৮ ফেব্রæয়ারি উপাচার্যের দপ্তর বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাডেমিক ভবন ফাউন্ডেশনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়নি। তবে নিচতলার কিছু কক্ষে ফাটল দেখা দিয়েছে, তৃতীয় তলার কাঠামোগত কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়নি তবে পশ্চিম পাশের উত্তর দিকের দেয়ালে ড্যাম্প দেখা দিয়েছে, চতুর্থ তলায় কাঠামোগত কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়নি তবে বর্ষাকালে ছাদে পানি জমে থাকার ফলে বিশেষ করে করোনাকালীন বন্ধের সময়ে ঝরা পাতায় পরিপূর্ণ থাকার কারণে কিছু কক্ষে ছাদ ও বিমের পলেস্তারা খসে পড়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়ে ফাটল উন্মুক্ত হয়েছে এবং কিছু কক্ষে জানালার পাশ দিয়ে দেয়াল চুয়ে পানি পড়ে ফলে কিছু কিছু ওয়াল ড্যাম্প হয়ে গেছে।
এছাড়াও, একাডেমিক ভবনের ছাদে প্রচুর পরিমাণে পাতা জমে থাকার ফলে বর্ষাকালে ছাদে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। ভাস্কর্য ভবনের শ্রেণিকক্ষের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন পূর্বক কাঠামোগত কোন ত্রæটি পরিলক্ষিত হয়নি।
শিল্পী রশীদ চৌধুরী আর্ট গ্যালারি ভবনের কিছু কিছু আউটার ওয়ালে ড্যাম্প দেখা দিয়েছে। ছাদে ড্রেইনের সিস্টেমের সমস্যা থাকার কারণে গ্যালারি ভবনের কিছু কিছু রুম স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে গেছে।
প্রশাসনিক ভবনের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় কোনো সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি তবে তৃতীয় তলায় মাস্টার্স এর ক্লাস রুমে বামে কিছু ফাটল দেখা গিয়েছে। তাছাড়া ছাত্রছাত্রীদের টয়লেটের ব্যবস্থাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এ বিষয়ে চারুকলা ইন্সটিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের বিষয়ে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, পর্যবেক্ষণ শেষে চারুকলার ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে গঠিত কমিটি জানিয়েছে। ছোট ছোট যে কয়েকটি সমস্যা রয়েছে তা মেরামতের কাজ চলছে। কাজগুলো হয়ে গেলেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারবে।
চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। চারুকলার মতো একটি জায়গাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার মতো সরকারের এই মুহূর্তে ফান্ড নাই। এই মুহূর্তে সেটা সম্ভব না। তিনি আরো বলেন, সরকার যদি চারুকলাকে স্থানান্তরের বিষয়ে কাজ শুরু করতে বলে এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় পরিবেশ পরিস্থিতি অনূকূলে থাকে তাহলে সে বিষয়ে আগানো হবে।