চান্দগাঁও-বাকলিয়ায় দুই বাড়ি ‘অবরুদ্ধ’

20

কক্সবাজারে নভেল করেনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া নারীর দুই ছেলের চট্টগ্রামের বাসা অবরুদ্ধ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও ও বাকলিয়া এলাকায় বাসা দুটি বাইরে থেকে আটকে দেওয়া হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব এক নারীর শরীরে নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, যিনি ওমরা হজ পালন করে গত ১৩ মার্চ দেশে ফেরেন।
চট্টগ্রামে ছেলের বাসায় একদিন অবস্থানের পর তিনি কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরে যান। সেখানে অসুস্থ হওয়ায় তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হলে মঙ্গলবার তার করোনাভাইরাস পজিটিভ জানিয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন দুপুরে এ তথ্য জানান।
চান্দগাঁও থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার জানান, দেশে ফিরে ওই নারী নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার সাত নম্বর রোডে তার ছেলের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন। সেখান থেকে কক্সবাজারে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। সেখানে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তাই তিনতলা ওই ভবন ‘লকডাউন’ করা হয়েছে।
এদিকে বাকলিয়া থানার সৈয়দ শাহ রোডে ওই নারীর অপর এক ছেলের বাসাও লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান ওসি নেজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত ওই নারী এই বাসাটিতে না এলেও তার ছেলের বৌ তার সাথে দেখা করতে চান্দগাঁও গিয়েছিলেন।
‘সৈয়দ শাহ রোডের পাঁচ তলা ওই ভবন রাতে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। ওই ভবনের কোনো বাসিন্দা বাসা থেকে বের হতে পারবে না। তাদের কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে পুলিশকে জানাবে এবং আমরা তা ব্যবস্থা করে দেব।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক জানান, রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই এ নারীকে চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক ও নার্সদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
‘তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রামের বিশেষ হাসাপাতালে পাঠানো হচ্ছে,’ বলছিলেন জেলা প্রশাসক।
একইসঙ্গে এ নারীর গ্রামের বাড়ি ও তার আশপাশের এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিডিনিউজ