চাকরিজীবীদের কর্মস্থলেই থাকতে হবে ঈদে

9

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এদিকে, সরকার ঘোষিত তৃতীয় দফার সর্বাত্মক লকডাউন গতকাল রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার অভ্যন্তরে বাস চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধ থাকবে দূরপাল্লার বাস এবং লঞ্চ-ট্রেন চলাচল। আর ঈদের ছুটিতে সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রে কর্মজীবীদের আবশ্যিকভাবে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ‘করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এর বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধি-নিষেধের সময়সীমা বর্ধিতকরণ’ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধি-নিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আগের শর্তে ৫ মে মধ্যরাত থেকে ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধি-নিষেধ আরোপের সময়সীমা বর্ধিত করা হলো। খবর বাংলানিউজের।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ৩ মে চতুর্থ দফায় লকডাউনের মেয়াদ ৭ দিন বাড়ানোর কথা বলা হয়। যা নিয়ে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। অর্থাৎ চলমান এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে ১৬ মে পর্যন্ত।
নির্দেশনাসমূহ : ১. সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।
২. দোকানপাট/শপিংমল আগের মতো সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সব দোকানপাট ও শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় দোকানপাট ও শপিংমল তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৩. আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে ৫ মে’র পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসাপেক্ষে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে। ৪. মাস্ক ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। ৬. কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা এলাকায় বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা নেবে।
উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন পালন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার।